দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: খাবারকে দেখতে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবহার করা হয় কৃত্রিম রঙ । দীর্ঘদিন ধরে এই রঙ ব্যবহারের ফলে শরীরে একাধিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে । রাস্তার ফুটপাথের তৈরি খাবারের থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি মাত্রায় বেড়ে চলেছে কৃত্রিম রঙের ব্যবহার । বেশিরভাগ সময়ই খাবারকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবহৃত হয় কৃত্রিম রঙ । বেশিরভাগ সময় কেক বা মিষ্টি জাতীয় খাবারে যে সমস্ত কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের তরফে সে বিষয় সতর্কীকরণ দেওয়া থাকে । বলা হয় শরীরে সেই রঙ প্রবেশ করলে কোনও ক্ষতি হবে না কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশিষ্ট চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে,এই কৃত্রিম রঙ অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে।
১) অ্যালার্জিঃ খাদ্য দ্রব্যের মাধমে শরীরে কৃত্রিম রঙ প্রবেশ করলে , তা থেকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। "ইয়েলো ৫" শীর্ষক একটি উপাদান অনেক সময়ে খাদ্যাদ্রব্যের মধ্যে ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের উপাদান অ্যাজমা রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক । অ্যালার্জির ক্ষেত্রে যারা অতিমাত্রায় সংবেদনশীল, তাঁদের সতর্ক হওয়া উচিত এবং খাবারের মোড়কের গায়ে "ফুড লেভেল "দেখে নেওয়া উচিত।
২) ক্যান্সারঃ গবেষণায় দেখা গিয়েছে ,খাবারে ব্যবহৃত একাধিক কৃত্রিম রঙ থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় । যেমন পশুদের উপরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে "রেড ৩" নামক একটি পদার্থ থেকে থাইরয়েড,টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায় । তাই দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের গুঁড়ো রঙ খাবারের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করলে শরীরে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
৩) স্বভাবে পরিবর্তনঃ চিকিৎসকদের একাংশ দাবি করেছেন ,কোনও কোনও ক্ষেত্রে মানুষের স্বভাবের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলেই দাবি করেছেন। কারন অল্প বয়সে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা জোরালো থাকে না । ফলে সহজেই শিশুদের ক্ষতি হতে পারে ।
৪) হজমের সমস্যাঃ খাবারের কৃত্রিম রঙ অনেক সময়েই বদহজমের কারন হতে পারে। বিশেষ করে যারা ইরিটেবেল বাওয়েল সিনড্রোমে আক্রান্ত ,তাঁদের ক্ষেত্রে কৃত্রিম রঙ থেকে সমস্যা আরও বাড়তে পারে ।
৫) কিডনির সমস্যাঃ খাবারে মিশ্রিত কৃত্রিম রঙ থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে । চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন , "রেড ৪০" এবং "ইয়েলো ৫" নামক উপাদান কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে ।