দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এবারের রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অর্থের পরিমাণও বাড়ান হয়েছে। এমনকী লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত প্রত্যেক নির্বাচনী সভা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ টেনে বিশেষ ব্যানার দেখা গেল হরিণঘাটায়। পোস্টারে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে ভোট দেওয়ার আবেদন। কোনও জায়গায় হরিণঘাটা আট নম্বর ওয়ার্ড, আবার কোথাও কল্যাণী শহর বিজেপির নামে এই পোস্টারগুলি ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টারের ভাষাকে ‘অশালীন’ বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল।
রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে অন্যতম ‘ইউএসপি’ হিসাবে দাবি করছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের প্রচারেও বার বার উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গ। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারে প্রাপ্ত অর্থ এক হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে সেই প্রকল্পকে খোঁচা দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে বিজেপি। যদিও এই পোস্টার মারার দায় অস্বীকার করছে বিজেপিও।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেত্রী মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘‘পোস্টারে যে ভাষা ব্যবহার করেছে বিজেপি, তাতে মহিলাদের সম্মানহানি হয়েছে। মা, বোনেদের অসম্মান করাই বিজেপির সংস্কৃতি।’’ যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে পোস্টার মারার দায় অস্বীকার করা হয়েছে। কল্যাণীর সাংগঠনিক শহর বিজেপির নেতা দাবি করেছেন, ‘‘কে কোথায় বিক্ষিপ্ত ভাবে কোন পোস্টার লিখল, তার দায় দলীয়ভাবে বিজেপির নয়। শব্দ চয়নগত আপত্তি থাকলেও মূলভাব কখনই খারাপ বলা যায় না।’’