kolkata

1 week ago

Maa Flyover Maintenance: সংস্কারের কাজ শুরু মা ফ্লাইওভারে! ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্যযাত্রীদের

Maa Flyover (File Picture)
Maa Flyover (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শহর কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুল মা ফ্লাইওভার। প্রতিদিনই হাজার হাজার যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমে এই উড়ালপুল। সেই মা ফ্লাইওভারেই এবার সংস্কারের কাজ। জানা গিয়েছে, মা উড়ালপুলের বেশ কিছু বিয়ারিং অনেকটাই জীর্ণ হয়ে গিয়েছে, তাই সেগুলির পরিবর্তন প্রয়োজন। আর সেই কারণেই সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উড়ালপুলটি।

সংস্কারের খরচ কত?

মা উড়ালপুল সংস্কারের কাজে হাত দিল কেএমডিএ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের অন্যতম ব্যস্ত এই উড়ালপুল সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। এই টাকায় উড়ালপুলের বিয়ারিং ও পিলারের গার্ডার বদলানো হবে। সেই সঙ্গে উড়ালপুলে জমা হওয়া বৃষ্টির জল যাতে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে পারে, সে জন্যে পাইপলাইন সংস্কারের কাজও করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

সংস্কারের কাজ শুরু

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উড়ালপুল মেরামতের কাজ। যেহেতু দিনের বেলা এই উড়ালপুলে যানবহানের চাপ বেশি থাকে, তাই রাত্রি ১২টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত সংস্কারের কাজ চলবে বলে কেএমডিএ-র তরফে জানান হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। এই বিষয়ে কেএমডিএ-র এক কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। যেহেতু রাতের দিকে কাজ হবে, ফলে মানুষের সমস্যা হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।

বন্ধ রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গা

অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানে হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত কাজ চললেও কোনও দিনই সম্পূর্ণ উড়ালপুল বন্ধ রাখার প্রয়োজন পড়বে না। যে অংশে কাজ হবে শুধু সেই জায়গাতেই যান চলাচল বন্ধ করা হবে। যেমন, সোমবার রাতে যেমন পাক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং থেকে বর্তমান ভবন এবং গড়িয়ার দিকে যান চলাচল বন্ধ ছিল। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই সংস্থার তরফে জানান হয়, উড়ালপুলের বেশ কিছু বিয়ারিং ইতিমধ্যেই জীর্ণ হয়ে গিয়েছ, সেগুলির দ্রুত পরিবর্তন জরুরি। তার পরেই উড়ালপুলটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে।

কাজ চলছে রাতের বেলায়, তাই সকালে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে না গাড়ির চালকদের। তাছাড়া গোটা উড়ালপুল বন্ধ করার প্রয়োজন না পড়ায় খুব একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে না। নির্ধারতি সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন কেএমডিএ-র কর্তারা।

You might also like!