কলকাতা, ২২ মার্চ : বুধবার সামাজিক মাধ্যমে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরতদের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য লিখেছেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এই মন্তব্যের জেরে তীব্র কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। পোস্ট করার ৮ ঘন্টা পর বুধবার বেলা ৪টায় ফেসবুকে তাঁর মন্তব্যে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ৮৩২, ৫৬৩ ও ৫৯।
সমীর বোস লিখেছেন, “যিনি পোলাও মাংস যোগাড় করেছেন তাকেও মেহনত করেই করতে হয়, তারও একটা লড়াই থাকে কত্তা। সেই লড়াই তার হয়ে আপনি লড়ে দেবেন না। তার লড়াই তার নিজের অর্থেই সে করে।যেখানে আপনার লড়াই রাষ্ট্রের অর্থেই করবেন আশা করি। নিজের পরিশ্রমের/ গাঁটের টাকা গাঁটকাটা কেটে নিয়ে গেলে যে যন্ত্রণা হয়, সেটা বোঝেন?”
কিংশুক চক্রবর্তী লিখেছেন, “মহাশ্বেতা দেবীর সুপারিশে লেখক হয়েছেন, মমতা দিদির অনুপ্রেরণায় বিধায়ক হয়েছে, এবার নিজের যোগ্যতায় মানুষ হবার চেষ্টা করুন।” সুরঙ্গমা ভট্টাচার্যলিখেছেন, “লড়াই কথাটা শুনলে এখন হাস্যকর লাগে। আরে ব্যাপারীদা তবে আপনি যে নিজের জায়গাটা ধরে রাখার জন্য এই লড়াইটা করছেন এটাই বাস্তব।” সুমিত চৌধুরী লিখেছেন, “আপনার অতীতের সাথে বর্তমান মেলে না। ভবিষ্যৎ কী হবে বলা মুশকিল। আপনার খাটের নীচে কোটি কোটি নেই। খামোখা ওদের হয়ে বলতে যান কেন?” পারমিতা মালী লিখেছেন, “আহা, কী অনুভূতি! মরে যাই মরে যাই...! চিন্তা নেই লেগে থাকুন, আপনার গামছাও সোনার গামছা হবে একদিন।” কেউ লিখেছেন, “আপনার বিধায়ক ভাতা এলাকার ভাত না পাওয়া মানুষদের দান করুন। সেই নথি এখানে পোস্ট করুন। আর যে যে সরকারি সুবিধা ভোগ করেন সেগুলোও ছাড়ুন।” কেউ লিখেছেন, “বাম আমলে বিধায়কদের মাইনে কত ছিল আর আজ আপনি কত টাকা মাইনে তুলছেন মনে করুন ভেবেছিলাম আপনি ভদ্রলোক।”
কৃষ্ণেন্দু পানিগ্রাহী লিখেছেন, “চোরেরা সমাজের মেধাবী ছেলে মেয়েদের চাকরি আর গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ 'ঘি' (অনুদান) সব তো চুরি করে নিয়ে চলে গেল। তখন আপনাকে দেখা গেল না।”