জয়নগর, ২৮ নভেম্বর : ভোজন রসিক বাঙালিদের জন্য সুখবর। শীতের জনপ্রিয় মিষ্টি জয়নগরের মোয়া এবার মিলবে অনলাইনে। বাড়িতে বসে নিজের মোবাইল ফোন থেকে অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দিলেই মিলবে এই সুস্বাদু মিষ্টি। শুধুমাত্র জামাকাপড়, প্রসাধন সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স গুডস-সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্রই নয়, এর পাশাপাশি এবার অনলাইনে মিলবে জয়নগরের মোয়াও। প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে অর্ডার দিলেই আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে আপনার বাড়িতে পৌঁছবে সুস্বাদু জয়নগরের মোয়া। অনলাইনের মাধ্যমে জয়নগরের মোয়া এবার জেলা, রাজ্য, দেশ পেরিয়ে পৌঁছবে বিদেশের মাটিতেও। শীত পড়লেই প্রতিবছর বাঙালির খাদ্য তালিকায় সংযোজন হয় এই সুস্বাদু মিষ্টির। খেজুর গাছের রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হওয়া নলেন গুড়ের সাথে কনকচূড় ধানের খই, কাজু, কিসমিস, খোয়াক্ষীর, এলাচগুড়ো দিয়ে বানানো হয় এই সুস্বাদু জয়নগরের মোয়া। আর এই মোয়ার টানেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ভোজন রসিকরা ছুটে আসেন জয়নগরে। তবে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও জয়নগরে না আসতে পাড়ায় মোয়া চেখে দেখার উপায় হয় না অনেকেরই। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এবার অনলাইনে আসল জয়নগরের মোয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকজন মোয়া ব্যবসায়ী।
প্রতিবছর শীত পড়লেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জয়নগরের মোয়ার নাম করে খইয়ের লাড্ডু বিক্রি হয়। ফলে আসল জয়নগরের মোয়া খেতে হলে ভোজন রসিক মানুষকে দূর দূরান্ত থেকে জয়নগরেই আসতে হতো। এবার অবশ্য সেই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন মোয়া ব্যবসায়ীরা। এবার বাড়িতে বসেই অনলাইনে বুক করলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মিলবে জয়নগরের মোয়া দাবি বিশিষ্ট মোয়া ব্যবসায়ী রাজেশ দাসের। তিনি জানান, ওয়েবসাইটে ডব্লু ডব্লু ডব্লু ডট জয়নগর ডট কম অথবা প্লে স্টোরে গিয়ে জয়নগরের মোয়া অ্যাপস ডাউনলোড করে অর্ডার দিলেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের যে কোন প্রান্তে পৌঁছে যাবে তাদের তৈরি মোয়া। যে মোয়ার গুণগত মান এবং স্বাদের কোন পরিবর্তন হবে না। অনলাইনে এভাবে মোয়া, রাজ্য তথা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানান এলাকার সাধারণ মানুষ। তারা জানান এই অভিনব পদ্ধতিতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাড়িতে বসে জয়নগরের মোয়ার গুণগত মান এবং স্বাদ পাবেন। তাঁদের আরও দাবি অনলাইনে এখন সবকিছুই মেলে, এবার থেকে জয়নগরের মোয়া অনলাইনে পাওয়া যাবে শুনে খুব ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে শীতের শুরুতে এই ধরনের একটা সুখবরে যথেষ্ট আনন্দিত ভোজন রসিক মানুষজন।