দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতায় মাহেশ্বরী ভবনে। রবিবার সন্ধেয় শহরে পা রেখেই মাহেশ্বরী ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন নাড্ডার তৈরি করা বিজেপি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-সহ চার সদস্যের সেই টিম সবে মাহেশ্বরী ভবনে ঢুকেছে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে… ঠিক তখনই মাহেশ্বরী ভবনের বাইরে ছড়াল বোমাতঙ্ক। রাস্তার ডিভাইডারে সুতলি বোমার মতো দেখতে একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখা যায়। তা থেকেই আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয় এলাকায়।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের একটি টিম। সুতলি বোমার মতো দেখতে ওই বস্তুটি যেখানে পড়ে ছিল, সেই জায়গাটি ঘিরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডেও। নিয়ে আসা হয় স্নিফার ডগ। আনা হয় বম্ব ডিটেক্টরও। শেষ পর্যন্ত বম্ব স্কোয়াডের টিম সন্দেহজনক ওই বস্তুটিকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। যদিও ওই বস্তুটি আদৌ বোমা ছিল কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। আরও কোথায় কোনও সন্দেহজনক বস্তু পড়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশিও চলে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছায় বিজেপির চার সাংসদের বিশেষ কমিটি। এদিন রাত ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। সেখান থেকে তাঁরা সোজা চলে যান মাহেশ্বরী ভবনে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ আনা আশ্রিতদের রাখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এই কমিটি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। কমিটিতে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভা সাংসদ কবিতা পাতিদার। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার রাতটুকু কলকাতায় কাটিয়ে তাঁরা আজ সকালেই রওনা হবেন কোচবিহারের উদ্দেশে।
প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতায় আসার পরে সোমবার তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু সোমবার ইদের উৎসব হওয়ায় তাঁরা সেখানে না গিয়ে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বাংলা সফর সেরে রিপোর্ট জমা দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে।