কবে থেকে কার্যকর?
নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে ১ জুলাই থেকে। তবে সবাই এই নিয়মের সুবিধা পাবেন না। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, যারা ১ জুলাই বা তার পরে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দেবেন, তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
কী জানানো হয়েছে?
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, এই নিয়ে গত ১৩ মার্চ নতুন আইন জারি করা হয়েছে। এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪এর মাধ্যমে ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে যারা ১ জুলাই থেকে যোগ দেবেন তাদেরকেই ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন’-এর অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে এখন কর্মরতদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন বা অন্যান্য সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে কর্মীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
কেন নতুন নিয়ম?
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে,খুব কম সংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত বা ওই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এইধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। তাঁরা চাকরির পরে অবসর সুবিধা হিসেবে এককালীন টাকা পেলেও মাসিক পেনশন পান না। তাই তাঁরা আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েন। তাদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করা হয়েছে।
কত টাকা পাওয়া যাবে?
প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, যেটা কম হয় তা বেতন থেকে কাটতে পারবে। যত টাকা কাটা হবে ঠিক সেই পরিমাণ টাকা দিতে হবে ওই সংস্থাকে। এই টাকা ওই প্রতিষ্ঠান জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সেই কর্মচারীর ‘কর্পাস’ হিসাবে জমা করবে। এতে তাদের জন্য পেনশন ফান্ড গঠিত হবে। তা লাভজনক খাতে বিনিয়োগের করে পাওয়া মুনাফা এবং ‘চাঁদা’ হিসাবে জমা অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে। অবসরগ্রহণ করার পরে ওই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা প্রতি মাসে জমা হবে।