দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এই অঞ্চলে সর্বনাশ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রসুল। ইরাক সরকারের অনেকের মতো তিনিও একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।গতকাল শুক্রবার ইরাকের অভ্যন্তরে ৮৫টির বেশি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, ওই সব স্থাপনা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়াদের। গত সপ্তাহে জর্ডানে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানসমর্থিত গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ওই হামলার দায় স্বীকার করে। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে হামলার ঘটনার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে বাগদাদে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইনা এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবারের হামলায় বেশ কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল দূরপাল্লার বি১ বোমারু বিমান, এটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল। ৩০ মিনিটের মধ্যে একযোগে এ হামলাকে সফল হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।ইরাকের আনবার অপারেশস কমান্ড জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ১৬ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের রাতভর বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এটি দুই দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন’।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কান্নানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আরও একটি উচ্চাভিলাষী ও কৌশলগত ভুল করেছে। যা এই অঞ্চলে শুধু অস্থিরতাই বাড়াবে।’