গোপালগঞ্জ (বাংলাদেশ), ১৪ সেপ্টেম্বর : সনাতনীদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা বন্ধ করা, হামলাকারীদের গ্রেফতার করা, বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ সহ আট দফা দাবির ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ বিসিক ব্রিজ থেকে এলজিইডির মোড় পর্যন্ত সংগঠিত মিছিল ছিল বিশাল। গোটা শহর পরিণত হয় মিছিল-নগরীতে। গোপালগঞ্জের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আজকের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এদিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচ উপজেলা থেকে গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি ও প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হন। বেলা ১১টায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন কমিটি ও কালীবাড়ির যৌথ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। মিছিল ও সমাবেশের ফলে টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষোভ সমাবেশে নারী, পুরুষ, যুবক ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। পরে সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি কমিটির সভাপতি রমেন সরকার।
বিক্ষোভ সমাবেশে স্লোগান ছিল, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়ো, বাংলা কি কারও বাপ-দাদার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে’, ‘আমার দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমার মাটি, আমার মা, দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না’, ‘স্বাধীন দেশে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, হামলাকারীর বিচার চাই’ ইত্যাদি।
সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার বিশ্বাস পল্টু, সাধারণ সম্পাদক দুলাল বিশ্বাস সবুজ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামি লিগ নেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস, মৃণালকান্তি রায় চৌধুরী পপা, প্ৰাক্তন ছাত্রনেতা টিটু বৈদ্য প্রমুখ।