International

2 weeks ago

Kim Jong UN : প্রাণে মারব! শত্রুকে প্রাণে মারার হুমকি কিমের

Kim Jong UN (File Picture)
Kim Jong UN (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উস্কানি দিলে দেশের শত্রুদের উপর 'প্রাণঘাতী আঘাত' করতে দু'বার ভাববেন না তিনি, রীতিমতো হুমকি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের। দক্ষিণ কোরিয়াকে তাদের 'প্রধান শত্রু' হিসেবে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিম। জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ০.০০১ মিলিমিটার এলাকাও যদি জবরদখলের চেষ্টা করে, তা হলে যুদ্ধ নিশ্চিত।

আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কিম যেদিন 'প্রাণঘাতী হামলা'র এই হুঁশিয়ারি দিলেন, সেদিনই দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টারি ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেখানের শাসকদল! বুধবার 'কিম জং ইল ইউনিভার্সিটি অফ মিলিটারি এবং পলিটিক্স'-এ গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। সেখানেই কিমকে বলতে শোনা যায়, 'পুরোদস্তুর যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। আগের থেকে এখন যুদ্ধের প্রস্তুতি অনেক বেশি প্রয়োজন। হেরে যাওয়া চলবে না। কোনও রকম উস্কানি এলেই উত্তর কোরিয়া সর্বশক্তি প্রয়োগ করে প্রাণঘাতী আঘাত করবে, কোনও রকম দ্বিধা না রেখেই।'

কিমের এই সফরের একটি ছবি পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি 'কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ় এজেন্সি' সূত্রে সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে একটি মডেল খতিয়ে দেখছেন কিম। মডেলটিকে প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের মিনিয়েচার বলেই মনে হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে হ্যান নদীও। সেই ছবি থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি দক্ষিণ কোরিয়ার উপর এবার পুরোদস্তুর হামলা করতে চলেছে কিমের দেশ?

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবারই দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট ভোটে হেরেছে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের কনজারভেটিভ দল 'পিপল পাওয়ার পার্টি' (পিপিপি)। ২৫৪টি আসনের মধ্যে ১৬১টি পেয়ে জিতেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ডিপি)। দলের এই শোচনীয় হারের পর পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। প্রেসিডেন্ট ইয়ুন নির্বাচিত হয়েছেন ২০২২ সালে।

তাঁর মেয়াদের এখনও তিন বছর বাকি। কিন্তু দলের এই হারের পর ইয়ুন শুধু নামসর্বস্ব রাষ্ট্রপ্রধান হয়েই থেকে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইয়ুনের অবশ্য দাবি, তিনি জনাদেশ মাথা পেতে নিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন নীতি ফের খতিয়ে দেখবেন। শুরু থেকেই পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে কড়া নীতি নিয়ে চলেছেন ইয়ুন, বদলে জোর দিয়েছেন ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার ব্যাপারে।

এ বার জয়ী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অবশ্য উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে সুর নরমই রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিমের হুমকি তাদের সুরকে আরও নরম করে কি না, সেটাই দেখার। ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে মিলিটারি যোগসূত্র বাড়িয়েছেন কিম। এমনকী ইউক্রেনের যুদ্ধে তিনি রাশিয়াকে অস্ত্র সাহায্য করেছেন বলেও অভিযোগ।

অন্য দিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে এলে কিমের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের জের উত্তর কোরিয়া-আমেরিকার সম্পর্কেও পড়তে পারে। বদলে যেতে পারে বিশ্বমঞ্চের সমীকরণও। এই পরিস্থিতিতে কিমের এই হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সবপক্ষই।

You might also like!