ঢাকা : চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো রয়েছে সে বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সাঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) দুই ঘন্টা সময়ব্যাপী একটি সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ ও সংবাদ উপস্থাপন আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানে বিটিভিতে যে দুই ঘন্টার কার্যক্রম শুরু করা হবে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে এবং বিশ্ব সংবাদ থাকবে। বিটিভির এ কার্যক্রম দিয়ে আমরা ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সাথে একটা সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রের মতো আরো এ রকম চলচ্চিত্র যৌথ প্রযোজনা নির্মাণের সুযোগ আছে কীনা তা খুঁজে দেখার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপতথ্য ও অপপ্রচারের ব্যাপারে ভারতের যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভিজ্ঞতা, প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগুলো দুই দেশের মধ্যে বিনিময়ে করা হবে। এখানে কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সে জায়গায় পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়েও আলাপ হয়েছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যে যে ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ আছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সাথে আলোচনা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ভারতের যেসব অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলো আমরা যথাসম্ভব নেয়ার চেষ্টা করবো যাতে আমরা এসব ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন করতে পারি।
এর আগে, বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, "আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের মতামতও প্রকাশ করেছি যে তথ্য, মিডিয়া, ফিল্ম এবং টেলিভিশনে সহযোগিতা আমাদের সম্পর্কের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের জনগণের সাথে মানুষের সম্পর্কের জন্য।" বাংলাদেশের নাটক ভারতে দেখানোর বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব কিছুই হচ্ছে পণ্যের মতো দর্শক চাহিদা থাকলে তারা নিবেন। কিন্তু জোর করে তো কোন কিছু দর্শকে দেখানো যাবে না।