বেজিং, ৩ ডিসেম্বর : কড়া করোনা বিধি না থাকলে চিনে ২০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে একটি সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্টে । চিনে করোনা নিয়ে কড়াকড়ির জেরে ক্ষুব্ধ সেখানকার মানুষ। তাঁরা এ নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। কার্যত বাধ্য হয়ে চিনের কমিউনিস্ট সরকার বেশ কিছু জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। তারই মধ্যে একটি সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কড়া করোনা বিধি না থাকলে চিনে ২০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ওই সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ইন সাউথ ওয়েস্টার্ন গুয়াংসির প্রধান ঝাউ জিয়াতং বলেন, সাংহাই জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ মেডিসিনে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। হংকংয়ের মতো করোনা বিধি শিথিল করা হলে চিনে ২ মিলিয়নের বেশি মানুষের তাতে মৃত্যু হতে পারে বলে লেখা হয়েছে। কড়া কোভিড বিধির বিরুদ্ধে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ মানুষের বিক্ষোভকে বলা হচ্ছে, ১৯৮৯ সালে তিয়েনানমেন স্কোয়ারের পরই সব থেকে বড় সরকার বিরোধী আন্দোলন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সব জায়গায় করোনা বিধি শিথিল হয়েছে। অথচ চিনে কড়া লকডাউন হওয়ায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। প্রতিদিনিই রেকর্ড সংখ্যায় করোনা আক্রান্ত বাড়ছে। বিক্ষোভের জেরে অবশ্য বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষার ফল সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে চিন।
প্রসঙ্গত, মে মাসে বিখ্যাত নেচার মেডিসিন পত্রিকায় একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, করোনা বিধি শিথিল করা হলে দেড় মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সেখানে লেখকদের মধ্যে ছিলেন চিনের ফিউডান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। তাঁদের অবশ্য দাবি, ভ্যাকসিন ভালোভাবে করা হলে একমাত্র এটা ঠেকানো যেতে পারে।
উল্লেখ্য, চিনেই প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। তা থেকে সারা পৃথিবীতে অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে। নতুন করে সেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলিতেও।