West Bengal

4 months ago

Lok Sabha Election 2024 : বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের!

Trinamool sarcasm with BJP's emphasis on social media!
Trinamool sarcasm with BJP's emphasis on social media!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝড়-বৃষ্টি মাথায় করে কি আর সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে যাওয়া যায়! কিন্তু ভোট না চেয়েও যে উপায় নেই, শেষ ক’দিনের প্রচারই শুধু বাকি। ঝড়ের বিপত্তি না ঘটলে এখনই তো শেষবেলায় ঝোড়ো প্রচার চালানোর কথা ভোট-প্রার্থীদের।

তবে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের কি এত শক্তি আছে যে, ভারতীয় গণতন্ত্রের সব থেকে বড় উৎসবের উপর আঘাত হানবে? বিজেপি নেতারা একসুরে বলছেন, একদমই নেই। ফলে ভোটের প্রচার চলবে, বদলাবে শুধু প্রচার-কৌশল। ভোটের লাস্ট ল্যাপে শেষ ক’দিনের প্রচারে বিজেপি তাই আরও বেশি জোর দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর। সেই ভার বর্তেছে দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের উপর।

দলের দুই ২৪ পরগনার সাংগঠনিক জেলার নেতাদের বলা হয়েছে, আপাতত মাঠে-ময়দানে নির্বাচনী প্রচারের কথা না ভেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। অন্যদিকে, দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল আর হোয়াটসঅ্যাপে প্রচারের ঝাঁজ বাড়াতে। তৃণমূল অবশ্য মনে করছে, যে ছাত্র সারাবছর লেখাপড়া করে, তাকে পরীক্ষার আগে শেষ ক’দিন সিলেবাস শেষ করতে বসতে হয় না।

রাজনৈতিক প্রচারের ক্ষেত্রে বঙ্গ-বিজেপি অনেকটাই নির্ভরশীল সোশ্যাল মিডিয়ার উপর। কিন্তু শেষ দফার ভোট প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যে বিজেপি এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়াতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। রাজ্য বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের তৈরি বহু রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রার্থীর সারাদিন সেগমেন্টটিও খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঝড়ের কারণে হয়তো জনসভা, স্ট্রিট কর্নার অথবা রোড-শো করার ক্ষেত্রে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে। কিন্তু আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে কোনও খামতি রাখছি না। শেষ দফার ভোট মূলত শহরাঞ্চলে। তাই শহরের বাসিন্দাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী কী কাজ করেছে, তার উপর আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করব। এই সংক্রান্ত প্রচুর রিলও বানানো হয়েছে। তা ছাড়া তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নানারকম পোস্টও করা হবে।’

সূত্রের খবর, শেষ দফার ভোটে দলীয় প্রার্থীদের দিয়ে ফেসবুক লাইভ করানোর ভাবনাচিন্তাও করছে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেল। তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন অবশ্য বলছে, ‘মানুষের পাশে থাকাটাই এখন সব থেকে বেশি জরুরি। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সক্রিয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখার কাজে হাত লাগিয়েছেন।’ আর ভোট-প্রচার? শান্তনুর জবাব, ‘সারা বছর যে ছাত্র পড়াশোনা করে, তাকে কি পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়তে হয়?’

You might also like!