দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাত পোহালেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। অন্যান্য দফার নির্বাচনের জন্যও প্রচার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে চতুর্থ দফার স্টার ক্যাম্পেনার বা তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করা হল।
রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন ১৩ মে। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর, আসানসোলে নির্বাচন। চতুর্থ দফার নির্বাচনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের তারকা প্রচারকদের তালিকায় কাদের নাম থাকে, সেই দিকে সব নজর ছিল। চতুর্থ দফার জন্য তৃণমূল ৪০ জন তারকা প্রচারের নাম সামনে এনেছে। অবশ্যই নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি অন্যান্য ৩৮ তারকা প্রচারকরা হলেন---
তারকা প্রচারক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
শত্রুঘ্ন সিনহা
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অরূপ বিশ্বাস
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
ফিরহাদ হাকিম
মলয় ঘটক
মানসরঞ্জন ভুঁইয়া
ব্রাত্য বসু
বাবুল সুপ্রিয়
সিদিকুল্লাহ চৌধুরী
দীপক অধিকারী (দেব)
ডা. শশী পাঁজা
সামিরুল ইসলাম
শতাব্দী রায়
মমতাবালা ঠাকুর
প্রতিমা মণ্ডল
মনোজ তিওয়ারি
স্নেহাশিস চক্রবর্তী
বীরবাহা হাঁসদা
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
অসীমা পাত্র
অরূপ চক্রবর্তী
কুণাল ঘোষ
সায়নী ঘোষ
জুন মালিয়া
রাজ চক্রবর্তী
ইউসুফ পাঠান
বিবেক গুপ্তা
সোহম চক্রবর্তী
সমীর চক্রবর্তী
অদিতি মুন্সি
জয়প্রকাশ মজুমদার
তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য
দেবাংশু ভট্টাচার্য
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
সৌরভ দাস
কৌশানী মুখোপাধ্যায়
চতুর্থ দফার নির্বাচনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীরা রয়েছেন। বহরমপুর কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 'ক্যাশ ফর কোয়্যারি' মামলায় সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল মহুয়া মৈত্রর। এবার তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার তাঁর কেন্দ্র থেকেই শুরু করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্য অমৃতা রায়কে। সার্বিকভাবে এই লড়াই অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তারকা প্রচারকদের তালিকা
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমের দুটি কেন্দ্রই তৃণমূল এবং বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই বীরভূমে সভা করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই কেন্দ্রেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, ‘কেষ্ট গড়ে’ তাঁর অনুপস্থিতির ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হাতছাড়া করতে নারাজ বিরোধীরাও।
আসানসোল কেন্দ্রের দিকে এবার প্রথম থেকেই নজর ছিল। পবন সিংকে প্রার্থী করেও পিছিয়ে আসতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। এখন দেখার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নির্বাচনে কে জয়ী হন?