দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলেন রাজ্যই মেটাবে MGNREGA প্রকল্পে জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একশো দিনের কাজের টাকা মেটানো হবে প্রাপকদের। পরে সেটা পিছিয়ে ১ মার্চ করা হয়। কিন্তু, বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে সেই তারিখ ফের এগিয়ে আনা হল।
প্রাথমিকভাবে, রাজ্য সরকারের কাছে পরিসংখ্যান ছিল গোটা রাজ্য জুড়ে ২১ লাখ জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। যাঁরা বিগত কয়েক বছর ধরে একশো দিনের কাজ করেও টাকা পাননি। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ফের জব কার্ড হোল্ডারদের সংখ্যা যাচাই করা হয়। সেখানে দেখা যায়, রাজ্যে প্রায় ২৪ লাখ ৫০ হাজার জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে। সেই কারণে, প্রাপ্য অর্থ ফেরতের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগামী ১ মার্চের মধ্যে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে গতকাল, রবিবার বীরভূম জেলার একটি সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফের জানান, ১ মার্চ নয়, তার আগেই জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে টাকা যাবে প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে।
ইতিমধ্যে, জেলায় জেলায় একশো দিনের শ্রমিকদের জন্য সহায়তা শিবির চালু করা হয়েছে। সেখানে জব কার্ড হোল্ডারদের নাম, পরিচয় পত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যসহ সমস্ত নথি যাচাই করে নতুন করে আবেদনের সুযোগ মিলছে। দুদিন আগেই দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন একটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত জেলা ব্লকে ব্লকে একশো দিনের কাজের জন্য এই সহায়তা শিবির করার কথা জানানো হয়। সেক্ষেত্রে, একশো দিনের শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য যাচাইয়ের কাজ ২৫ তারিখের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জঙ্গলমহল সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ঝাড়গ্রামে একটি সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেদিনের অনুষ্ঠান থেকেই সরকারিভাবে এই টাকা ফেরতের প্রক্রিয়াটির উদ্বোধন করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। ২৬ তারিখ থেকেই ধাপে ধাপে রাজ্যের ২৪ লাখ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ গুটিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই একশো দিনের টাকা দেওয়ার বিষয়টিকে প্রচারের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করবে রাজ্যের শাসক দল। সেই নির্দেশ গিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।