দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার উঠে গেল গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার সকাল থেকেই রুপোলি শস্য ইলিশের খোঁজে একে একে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিতে শুরু করেছে ট্রলার। সুন্দরবনের হাজার হাজার মৎস্যজীবী এতদিন সমুদ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। শুক্রবার দিনভর সুন্দরবনের ঘাটগুলিতে প্রস্তুতি চলেছে পুরোদমে। সমুদ্রে যাওয়ার আগে ঘাটে ও ট্রলারে হয়েছে গঙ্গা পুজোও।
জেলা মৎস্য দপ্তর এবং মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, ছোট-বড় মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় সাড়ে তিন হাজার ট্রলারের অর্ধেকই এখন সমুদ্রে পাড়ি দেবে। গত কয়েক বছরের আর্থিক ক্ষতির কথা মাথায় রেখে, এ বার প্রথম ট্রিপে ইলিশ কেমন ওঠে তা দেখে তবেই বাকি ট্রলার সমুদ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রলার মালিকরা। ট্রলার পিছু সর্বোচ্চ ১৫ জন করে মৎস্যজীবী থাকতে পারবেন।
সদ্য লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। ভোটের কাজে সরকারি অফিসাররা ব্যস্ত থাকায় বহু ট্রলারের লাইসেন্স রিনিউয়াল হয়নি। ফলে সেই সমস্ত ট্রলারের গভীর সমুদ্রে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে জেলা মৎস্য দপ্তর লাইসেন্স রিনিউয়াল না হওয়া ট্রলার মালিকদের থেকে একটি করে হলফনামা জমা নিয়ে আপাতত সব ট্রলারকে সমুদ্রে যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে। পরে মৎস্য দপ্তর হলফনামা ধরে ধরে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে লাইসেন্স রিনিউ করবে বলে জানা গিয়েছে।
গত কয়েক বছরে গভীর সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনার সংখ্যাটা বেশ বেড়েছে। তা মাথায় রেখে সিজ়িনের শুরুতেই গভীর সমুদ্রে যাওয়া প্রত্যেকটি ট্রলারে বিপদ সংকেত প্রেরক যন্ত্র (ড্যাট) রাখা বাধ্যতামূলক করেছে মৎস্য দপ্তর। পাশাপাশি প্রত্যেক মৎস্যজীবীর জীবনবীমা করে দেওয়া, প্রত্যেকটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট, লাইভ বয়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এ বারও মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সতর্ক করেছে জেলা মৎস্য দপ্তর।