দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকে বিজেপির দখলে থাকা রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে কে বা কারা তালা ঝুলিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসেন বিজেপি নেতা তথা রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশ্বিনী দেবসিংহ। এদিন রুইডাঙ্গা এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক সুশীল বর্মন, বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়কে সঙ্গে নিয়ে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক । ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বের কাছেও পরিস্থিতির কথা শোনেন।
অশ্বিনী দেবসিংহের দাবি, তাঁকে ও গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে কর্মরত কর্মীদের যতক্ষণ তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, ততক্ষণ ধর্না চলবে। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। কাজের দিন থাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর বিজেপির দখলে থাকা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নানাভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল বলে অভিযোগ বিজেপির। তাই এই ঘটনায়ও অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। অশ্বিনী দেবসিংহ জানান, কে বা কারা তালা মেরেছে, তা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জানা যাবে। গোটা বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও পুলিশকে জানানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলই এ কাজ করেছে।
তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মনের কথায়, খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের একাংশ প্রধান ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষের জেরে তালা ঝুলিয়েছে। বিডিও অর্ণব মুখোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, তারা এবিষয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিন নিশীথ প্রামাণিকের কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় কড়া পুলিশি প্রহরা লক্ষ্য করা যায়।