দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভাঙড়ে আইএসএফ-এ ভাঙন! লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরেই ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নেতা যোগদান করলেন তৃণমূলে। চারজন পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় দু'হাজার কর্মী বৃহস্পতিবার যোগদান করেছেন আইএসএফ-এ।
লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে জিতিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁর মার্জিনও বেশ ভালো। সবমিলিয়ে লোকসভার পর ভাঙড়ের রাজনৈতিক জমিতে বেশ কিছু বদল হতে পারে, সেই আঁচ আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল।
অভিষেক ক্যারিশ্মার পাশাপাশি তৃণমূল সেনাপতির অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক শওকত মোল্লাও ভাঙড়ে তৃণমূলকে ‘একম অদ্বিতীয়ম’ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূল নেতাদের স্পষ্ট দাবি, মানুষ বুঝে গিয়েছেন যদি বিজেপিকে কেউ ঠেকাতে পারে তা তৃণমূল। সবমিলিয়ে ভাঙড়ে আইএসএফ-এর ‘ঘর ভাঙছে’ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
ভাঙড় দু'নম্বর ব্লকের চালতা বেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফের চার জন পঞ্চায়েত সদস্য এদিন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। লোকসভা ভোটে সায়নী ঘোষ জয়লাভ করার পরই কার্যত আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে বলে দাবি স্থানীয় শাসক দলের নেতাদের।
শওকত মোল্লার দাবি, আগামীদিনে আইএসএফ-এ আরও ভাঙন ধরবে। সকলেই তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী। এদিকে তৃণমূলে যোগদান করা নওশাদের দলের ‘প্রাক্তনী’-দের দাবি, বিজেপিকে রুখতে পারে একমাত্র তৃণমূল। সেই কারণেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে এই বিষয়ে ভাঙড়ের কোনও আইএসএফ নেতা মুখ খুলতে নারাজ। নওশাদ সিদ্দির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। (তিনি প্রতিক্রিয়া জানালে এই প্রতিবেদনেই তা আপডেট করে দেওয়া হবে।)
একুশের লোকসভা নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ জোট করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজ্যের মাত্র ১টি আসনে জয়লাভ করেন আইএসএফ-এর প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি। যেখানে বাম-কংগ্রেস শূন্য ছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ডায়মন্ড হারবার থেকে নির্বাচনে লড়াই করার হুংকার দিয়েছিলেন নওশাদ।
কিন্তু, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই উলটো সুর শোনা যায় আইএসএফ নেতার কণ্ঠে। দল তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে চান না, এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। এমনকী, লোকসভা ভোটে তিনি লড়াই পর্যন্ত করেননি। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ ছিল, হার নিশ্চিত জেনেই ঢোঁক গিলে পিছিয়েছিলেন এই তরুণ নেতা। নওশাদের অবশ্য দাবি ছিল, তিনি দলের নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।