পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মার্চ : ঘাটালের দাসপুরে অগ্নিদগ্ধ ধূপের কারখানায় আগুনে কারখানার ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই কারখানায় গেলেন সাংসদ দেব। কারখানার শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন মাটিতে বসে। সেখানে আগুন লেগেছিল মঙ্গলবার রাতে। এখনও সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। দেবকে দেখেই কারখানার সামনে জড়ো হন শ্রমিকেরা। তাঁরা সাংসদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সকলের কথা শুনতে কারখানার উল্টো দিকে একটি মাঠে গিয়ে মাটিতে বসে পড়েন সাংসদ-অভিনেতা। মাঠে দেবকে ঘিরে ধরেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুদের উপস্থিতিও ছিল।
দাসপুরের রসিকগঞ্জের ধূপ কারখানায় কাজ করেন অন্তত দু’হাজার শ্রমিক। মঙ্গলবার রাতে সেখানে হঠাৎই আগুন লাগে। কী থেকে আগুন লাগল, তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিক ভাবে শর্ট সার্কিটের কথা মনে করা হচ্ছে। কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন মঙ্গলবার রাত থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বুধবার একটা গোটা দিন কেটে যাওয়ার পরেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত কারখানার ভিতরে ঢুকতে পারেননি দমকল কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, আগুন নিভলেও এখনও ধোঁয়া রয়েছে কারখানায়। যে কারণে ভিতরে ঢোকা যাচ্ছে না। আগুন-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দেব বলেন, ‘‘যখন থেকে আমি এই আগুন লাগার খবর পেয়েছি, দিদির সঙ্গে যোগাযোগে ছিলাম। কী ভাবে আগুন লাগল, তার তদন্ত হবে। কারখানা যাতে দ্রুত শুরু হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। যত দিন না কারখানা চালানো যাচ্ছে, ছ’মাস পর্যন্ত এই কারখানার শ্রমিকদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মার্চ মাস থেকেই তা চালু হবে। আমাদের লক্ষ্য কারখানা দ্রুত চালু করা এবং যাঁরা এর উপর নির্ভর করে আছেন, তাঁদের মুখে হাসি ফোটানো।’’