দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট। ইতিমধ্যেই রওনা হয়ে গিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নতুন করে আরও পাঁচটি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে সন্দেশখালিতে। এই পরিস্থিতিতে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট তিনি আজ সেখানে যাচ্ছেন।
এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে এদিন বৃন্দা কারাতকে আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের বচসা শুরু হয়ে যায়। চার জনকে নিয়ে তিনি সন্দেশখালি যেতে চাইলেও পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান কারাত। তিনি বলেন বৃন্দা, ‘‘এটা অগণতান্ত্রিক। পুলিশের যদি এত ক্ষমতা থাকে, তাহলে কেন শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না?
সন্দেশখালিতে মেয়েদের অবস্থা শোচনীয় বলে অভিযোগ করেন বৃন্দা কারাত। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জাতীয় মহিলা কমিশন এবং এসসি কমিশন উত্তরপ্রদেশ এবং মণিপুর যাচ্ছে না। অথচ বাংলায় তারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছে। '' যদিও রাষ্ট্রপতি শাসনের বিরোধিতা করেছেন সিপিএম নেত্রী। তাঁর মতে, রাষ্ট্রপতি মানে বিজেপি শাসন। আমরা বিকল্প সরকার চায় মানুষ। অগণতান্ত্রিক শাসন বা রাষ্ট্রপতি শাসনের বকলমে বিজেপির শাসন চায় না মানুষ।’’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ সিপিএমের মহিলা সংগঠন এআইডিডব্লিউএ-এর কলকাতার অফিসে পৌঁছন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। সেখানে প্রাথমিক বৈঠক করে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন কনিনীকা বোস ঘোষ সহ পাঁচজনের মহিলা ব্রিগেড।
এদিন কলকাতায় পৌঁছে বৃন্দা কারাত বলেন, “সারা দেশে সন্দেশখালির মতো ঘটনা প্রথম ঘটেছে। দীর্ঘ দিন ধরে মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে। সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না।” একইসঙ্গে বিরোধীরা চক্রান্ত করে সন্দেশখালিতে অপপ্রচার করছে বলে সরকারের তরফে যে অভিযোগ এসেছে তা ভিত্তিহীন বলে জানান বৃন্দা কারাত। তাঁর মতে, “মহিলারা নিজেরা এসে যখন তাঁদের দুর্দশার কথা জানাচ্ছেন তখন সেটা কীভাবে চক্রান্ত হয়!”
এর আগে সন্দেশখালিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল সিপিএম নেতৃত্বকে। সেই সময় সন্দেশখালি গিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কনিনীকা বোস ঘোষরা। তাঁদের এলাকায় ঢুকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙেই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। এদিকে সন্দেশখালির পাঁচটি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত আজ সেখানে যাচ্ছেন। এরপর বৃন্দা কারাতের নেতৃত্বে মহিলা বিগ্রেডকেও ধামাখালির অনেক আগেই আটকে দেওয়া হয়।
আজ সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বাধা দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামা, অগ্নিমিত্রা পল, সুমিতা সিনহা রায় ও তাপসী মণ্ডলরাও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সকালেই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি।