দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে বের হওয়ায় ও দেওয়াল লিখনে অংশ নেওয়ায় এক সিপিএম কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, দম্পতির বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
খড়দহের বিলকান্দা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষপোতা দাসপাড়ায় বাড়ি সিপিএম কর্মী শ্রীবাস দাসের। শ্রীবাসের অভিযোগ, রবিবার তাঁদের বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে তৃণমূল। শুধু তাঁকে নয়, তাঁর স্ত্রী পাপিয়া দাস এবং ভাই জয়ন্ত দাসও মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ শ্রীবাসের। ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ যদিও অভিযুক্তদের কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।
দমদম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রচার ও দেওয়াল লিখনের কাজে দলের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করেছেন শ্রীবাস। তাঁর অভিযোগ, ‘রবিবার দুপুরে জনা ২৫ ছেলে আমার বাড়ি আসে। প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূল করে এবং তৃণমূলের উপপ্রধান প্রবীর দাসের সঙ্গেই ওদের দেখা যায়। আমি শনিবার প্রচারে বেরিয়েছিলাম কি না জিজ্ঞেস করে। হ্যাঁ বলাতে হুমকি দেয়। কিন্তু আমি হুমকিতে পাত্তা না দিয়ে ফের প্রচারে নামব বলায় তৃণমূলের বাহিনী বাড়িতে হামলা চালায়। আমাকে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুসি-লাথি মারে।’
স্বামীকে মার খেতে দেখে স্ত্রী পাপিয়া ছুটে গেলে তাঁকেও মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভাই জয়ন্ত দাসকেও মারধর করা হয়েছে। রবিবার আরও তিন-চার জন সিপিএম কর্মীর বাড়িতে গিয়ে এই দলটি শাসানি দিয়েছেবলে অভিযোগ উঠেছে। ঘোলা থানা এবং নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রীবাস৷
বিষয়টি সুজন চক্রবর্তীকে জানানো হয়েছে। সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি দাস বলেন, ‘তৃণমূল হারবে বুঝে এ সব করছে। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে খুব শীঘ্রই আমরা ওই গ্রামে কর্মসূচি নেব।’ যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা খড়দহের উপপ্রধান প্রবীর দাস বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। প্রচারের আলোয় আসার জন্য এই সব করছে ওরা।’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।