Tripura

1 year ago

Agartala-Mumbai rail service:দুর্গাপূজার আগেই আগরতলা-মুম্বাই লোকমান্য তিলক-কামাখ্যা সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস চলবে

Tilak-Kamakhya Express Extends To Agartala
Tilak-Kamakhya Express Extends To Agartala

 

আগরতলা  : ত্রিপুরায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে আগরতলা-মুম্বাই রেল পরিষেবা। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক ইতিমধ্যেই রাজ্যকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করেছে। আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই লোকমান্য তিলক-কামাখ্যা সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেন আগরতলা থেকে মুম্বাই পর্যন্ত চলাচল করবে।

আগরতলা পর্যন্ত এই এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। মুম্বাইয়ের সাথে সরাসরি ট্রেন সংযোগ আমাদের রাজ্যের মানুষদের অনেকাংশে উপকৃত করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন।

রাজ্যে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে এই রাজ্যের যাত্রীসাধারণ রেল সফরে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। পাশাপাশি বহিঃরাজ্যের সাথে ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেশি জোড়ালো হয়ে উঠছে। ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকার ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে একের পর এক জনহিতকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শুধুমাত্র জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি নয়, অন্যান্য রাজ্যের সাথেও ত্রিপুরা যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের সাথেও রেল সংযোগ স্থাপন হতে যাচ্ছে। সবমিলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ত্রিপুরা এক নতুন দিশায় এগিয়ে চলছে।

এদিকে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রেল মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এই এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৬-টায় আগরতলা থেকে রওনা দেবে ও মুম্বাইয়ের লোকমান্য তিলক স্টেশনে পৌঁছাবে শনিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে। এই এক্সপ্রেসই আবার মুম্বাই থেকে রবিবার সকাল ৭-টা ৫০ মিনিটে রওনা হয়ে এবং আগরতলায় এসে পৌঁছবে মঙ্গলবার রাত ৭-টা ৫০ মিনিটে। যাত্রাপথে সময় লাগবে ২ দিন ৭ ঘণ্টা।

পরিবহণ মন্ত্রী জানান, এই যাত্রাপথে এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগরতলা এবং গুয়াহাটির মধ্যে মোট সাতটি স্টেশনে থামবে। এই সাতটি স্টেশন যথাক্রমে আমবাসা, ধর্মনগর, বদরপুর, নিউ হাফলং, লামডিং, হোজাই ও চাপরমুখ। এই রেল পরিষেবা চালু হলে চাকরি প্রার্থী, রোগী, শিক্ষার্থী, পর্যটক, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষ লাভবান হবেন। আগরতলা-মুম্বাই রেল পরিষেবা চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহণ মন্ত্রী চৌধুরী আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে হীরা মডেল দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এই হীরা মডেলের ওপর দাঁড়িয়েই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। রাজ্য সরকারও উন্নত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তিনি জানান, রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলেই বর্তমানে রাজ্য থেকে ১১টি এক্সপ্রেস ট্রেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে চলাচল করছে। এছাড়া পাঁচটি লোকাল ট্রেন রাজ্যে চালু রয়েছে।

পরিবহণ মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ৫০৮টি রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় এনে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১টি রেল স্টেশন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। যার জন্য ব্যয় হবে ৫,১০০ কোটি টাকা। রাজ্যের তিনটি রেল স্টেশনও অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এগুলি হলো ধর্মনগর, কুমারঘাট এবং উদয়পুর রেল স্টেশন। এই তিনটি স্টেশনের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে ৯৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ চালু হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ সচিব ইউকে ঢাকমা, অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

You might also like!