দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মন ভোলানো পরিবেশ।অনন্ত প্রসারিত সবুজের সমারোহ আর দিগন্ত বিস্তৃত স্বচ্ছ আকাশ। সব মিলিয়ে দু'এক দিনের জন্য অপূর্ব আউটিং। কলকাতা থেকে গাড়িতে ২ নম্বর স্টেট হাইওয়ে ধরে মোটামুটি সাড়ে চার-পাঁচ ঘন্টার রাস্তা পেরোলেই পৌঁছাবেন বাঁকুড়ার 'সবুজ দ্বীপ' জয়পুর জঙ্গলে। আর এই জঙ্গল লাগোয়া ছবির মতো সাজানো রিসর্ট বনলতা। এটাকে দেখে একটা ছোট গ্রামও মনে হতে পারে। এখানে কৃত্রিম গ্রাম্য পরিবেশে পরিবারের সঙ্গে এক-দু’রাত কাটিয়ে আসা যায় এই শীতে।পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দু'দিন থাকলে সারা বছরের কর্ম-ক্লান্তি ভুলে যাবেন।
এখানে একটা বড়ো আকর্ষণ 'বনলতা রিসর্ট'। সেই রিসর্টের থাকলে নানা মরসুমে নানা বাহারি ফুলে ভরা বাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। তাছাড়া বনলতার নিজস্ব খামারও ঘুরে দেখতে পারেন, যেখানে হাঁস-মুরগি-এমু সবই আছে। বনলতার তরফে জঙ্গল সাফারি আর মন্দির দর্শনের সুব্যবস্থা রয়েছে। কাছেই রয়েছে বিষ্ণুপুর। সেখানেও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাই হাতে সময় থাকলে ওই জায়গাগুলো ঘুরে আসতে পারেন। ব্যবস্থা হয়ে যাবে বনলতা থেকেই। ওখান থেকে বেরিয়ে সামান্য হাঁটা পথে দেখতে পাবেন পিয়ারডোবা এয়ারফিল্ড। এককালে এটি একটি বিমানবন্দর ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চার বছর ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিমানবন্দর। এর পাশেই রয়েছে জঙ্গল।
থাকা - 'বনলতা রিসর্টে' থাকলে খরচ একটু বেশি। এই রিসর্টের বাইরে অনেক হোটেল আছে যেখানে খরচ একদম সাধ্যের মধ্যে। তবে বনলতা রিসর্টের মজাই আলাদা। বনলতা রিসর্টে নানা বাজেটের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাবল বেড রুমের ভাড়া শুরু হচ্ছে ২,২০০ টাকা থেকে। এছাড়াও রয়েছে তিন ধরনের কটেজ, যেগুলির ভাড়া ৬,৭২০ টাকা থেকে ১১,৮০০ টাকা পর্যন্ত।
যাওয়া - আগেই বলেছি নিজের গাড়ি নিয়ে স্বচ্ছন্দে যাওয়া যায়। অথবা ট্রেনে বাঁকুড়া গিয়ে একটা ভাড়া গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
বেশি দিন নয়, মাত্র ২/১ দিনের জন্য ঘুরে আসুন নয়ন ভোলানো 'জয়পুর জঙ্গল'।