দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতের দেশে,পাহাড়ের দেশে,নদী ও জঙ্গলের দেশে চলুন ঘুরে আসি ৩/৪ দিনের জন্য। সেখানে আসল পাওনা শান্তির দূত মহামানব বুদ্ধের মন্দির। স্বাভাবিক কৌতুহল জায়গাটা কোথায়? হ্যাঁ,আমরা বলছি সিকিমের 'রবংলা'। দক্ষিণ সিকিমের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হল রবংলা। মাঝেমাঝেই জলভরা মেঘ বৃষ্টি হয়ে নামে এখানে। বছরের বিভিন্ন সময়ে রোদ্দুর আর বৃষ্টির টানাপড়েন চলে । পাহাড়ের বুক জুড়ে দিগন্তবিস্তৃত চা বাগান, মনেষ্ট্রি, বুদ্ধমূর্তি দেখে মন হারিয়ে যেতে বাধ্য আপনার । কাঞ্চনজঙ্ঘা, পানজডিম, সিনালচু ও কাবরু— রবংলা থেকে হিমালয়ের এই চারমাথা স্পষ্ট দেখা যায়। পাহাড়ের গা ঘেঁষে ভেসে বেড়ানো নীল আকাশ, পাকদণ্ডী পথ, ঠান্ডা বাতাস, সব মিলিয়ে সিকিমের এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরে এসে আপনার মনে ভরে যাবে। একঘেয়েমি, ক্লান্তি ধুয়েমুছে একেবারে সাফ হয়ে যাবে।
এখানকার পরিবেশে আছে একটা শান্তির ছোঁয়া। যেন শান্তির দূত গৌতম বুদ্ধ আপনার প্রতি আশীর্বাদের হাত বাড়িয়ে রেখেছে।
দু’চোখ ভরে দেখার অনেক কিছুই এখানে রয়েছে। রবংলা থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টেমি চা বাগান। এখানকার সবচেয়ে মনোরম স্থান। ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁরা ট্রেক করেও আসতে পারেন এখানে। এ ছাড়াও রবাংলা থেকে কিছুটা দূরে রালাং মনেষ্ট্রি রয়েছে। এই মনেস্ট্রি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে গরম জলের ঝর্না। এখানকার অন্যতম সেরা আকর্ষণ। মাঝেমাঝেই এখানে বরফ পড়ে। সেই দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারলে জীবনের অন্যতম একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে। আর এই সবের মধ্যে আছে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
পাখিদের কলরব, রডোড্রেনডনের ঘ্রাণে ভরে থাকবেন সব সময়। বর্ষাকালে এমনিতে প্রচুর বৃষ্টি হয় এখানে। তাই বর্ষার সময় রাবংলা এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে সারা বছরই রবংলার আবহাওয়া মনোরম থাকে। এখান থেকে আরও ঘণ্টাখানেক হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন ভালেদুঙ্গা থেকে।
যাওয়া - শিয়ালদহ অথবা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে জিপ ভা়ড়া করে সোজা রবংলা। শিলিগুড়ি থেকেও রবংলার গাড়ি পাওয়া যায়। তবে ভাড়া তুলনায় বেশি পড়বে।
থাকা - রবংলায় বুদ্ধ পার্কের পাশে বেশ কয়েকটি ভাল হোমস্টে এবং রিসর্ট রয়েছে। পছন্দ মতো কোনও একটিতে থাকতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে বুক করে নিতে পারেন। তাতে সুবিধা হবে। এখন সব on line booking হয়। তাই আর দেরি না করে google খুলে একটা থাকার জায়গা বুক করে বেরিয়ে পড়ুন।