দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গ এখন পর্যটকদের একটা অন্যতম আকর্ষণ। প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে।সঙ্গে সরকার উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। তারই একটি নিদর্শন 'গজলডোবা'।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ছিমছাম পরিবেশের মাঝে গজলডোবা এক অপরূপ অনুভূতি দেয়। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দফতর আবার সেখানে শিকারা পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে। ফলে সেখানের আকর্ষণ আরো বাড়বে।
দূরে প্রাচীন হিমালয়, সামনে নীল জল, চারিদিকে সবুজ বনানি, সেখানে। রাজ্যের পরিযায়ী পাখিদের বাস। সবমিলিয়ে গজলডোবা এখন প্রাইম ভ্রমন গন্তব্য। তাই পর্যটকদের মাঝে জায়গাজুড়ে নিচ্ছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা। শীতের ছোট্ট ছুটিতে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসার জন্য গজলডোবার তুলনা হয়না। শীতের মরশুমে মানুষের পাশাপশি প্রচুর পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় সেখানে।
অদূরে হিমালয়, সামনে নীল টলটলে জল, আশেপাশে পাখিদের কলরব! সবটা মিলিয়ে এমন সুন্দর জায়গা খুব বিরল। ওপারে তিস্তা নদীর ধারে বেড়ানোর জন্য অনেকেই আসেন। কিন্তু বর্তমানে পর্যটকদের নম্বর ওয়ান ভ্রমণ গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে এই বাঁধটি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সেখানে দেখতে পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘারও। এখানের শান্ত নির্লিপ্ত পরিবেশ ছুটি কাটানোর জন্য দারুণ উপভোগ্য। সামনেই আবার গরুমারা জাতীয় উদ্যান, সেখানেও ঘুরে আসা যায়।
পাহাড় ঘুরতে যাওযার সাধ্য যাদের নেই অর্থাৎ ইচ্ছা থাকলেও বিভিন্ন কারণে যেতে পারেননা, গজলডোবা তাদের জন্য আদর্শ ডেস্টিনেশন। এখানে এখন কয়েকটা হোটেল রিসর্ট হয়েছে। ফোন করে চলে যান গজলডোবা।