দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্ষার এক নিজস্ব রূপ আছে।সেই রূপকে খুঁজে নিতে যারা পারেন,তারাই প্রকৃত প্রকৃতি-প্রেমী। বর্ষার মরশুমে বেড়াতে যাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে। সমুদ্রে গেলে মাছের সম্ভার, পাহাড়ি জায়গায় গেলে পাহাড়ের কোলে মেঘ লেগে থাকা উপভোগ করা, জঙ্গলে গেলে সবুজ দেখে নিজের চোখকে তৃপ্তি দেওয়া বা রাঢ়বঙ্গে গেলে বৃষ্টিভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ উপভোগ করা, সব মিলিয়ে এই বর্ষাও হয়ে উঠতে পারে আপনার ভ্রমণের প্রিয় সময়। ছোট্টো একটি ছুটিতে বেরিয়ে পড়ুন সপরিবার বা সবান্ধব। আমরা আজ ছোট পাহাড়,ড্যাম ও জঙ্গল নিয়ে গড়ে ওঠা মাইথনের কথা বলবো। আর বর্ষায় মাইথনের 'মজুমদার নিবাস'- আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য বসে আছে।
চারিদিকে জলবেষ্টিত হয়ে দ্বীপাবাস। সত্যিই তাই। মূল ভূমির সঙ্গে ‘মজুমদার নিবাস’-এর দ্বীপটির যোগাযোগের জন্য রয়েছে ঝুলন্ত সেতু। সবুজ পাহাড়, বরাকর নদী আর ড্যাম-জলাধার নিয়ে মাইথন। বৃষ্টিপাতের রিমঝিম শব্দ কেমন যেন নেশা ধরায়। এক ফাঁকে ঘুরে আসুন কল্যাণেশ্বরী মন্দির। নিরালা পথে হাঁটাহাঁটি করুন, বর্ষা এখানে বিরক্ত করে না, গ্যারান্টি। না হয় সঙ্গে ছাতা রাখুন। মন ভালো হয়ে যাবে ২/৩ দিনের মধ্যেই।
যাওয়া - ট্রেনে বা বাসে বা নিজের গাড়িতে যাওয়া যেতে পারে মসিথন। গাড়ি ভাড়া করেও নিতে পারেন। অথবা সকাল ৬:১৫-র ধানবাদগামী ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে চড়ে বেলা ১০টা নাগাদ পৌঁছোন কুমারডুবি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন ৬ কিমি দূরে মাইথনে। কিংবা দিনের যে কোনো সময়ে ট্রেনে আসানসোল বা বরাকরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যান মাইথন। সরাসরি কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে চলে যেতে পারেন মাইথন।
থাকা - বর্ষার মাইথনকে উপভোগ করতে হলে আদর্শ থসকার জায়গা হল ‘মজুমদার নিবাস’। ড্যাম সংলগ্ন এলাকায় বরাকর নদীর মাঝখানে দ্বীপের ওপর অবস্থিত ডিভিসির এই অতিথিনিবাস। বুকিং-এর জন্য ডিভিসির কলকাতা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। (০৩৩-২৩৩৩২১১৫)। থাকার জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের মাইথন টুরিস্ট লজ ও আরও অনেক বেসরকারি হোটেল।