দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বসন্ত শেষের দিকে। তবে ঠিকমত গরম পড়তে আর একটু দেরি হবে। এই সময় আপনার আদর্শ ডেস্টিনেশন হতে পারে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত 'মহানন্দা অভয়ারণ্য'। দু'দিক থেকেই ঘুরে নিতে পারেন এই অরণ্য। যদি আপনি হিমালয় উঠতে চান,তাহলে শিলিগুড়িতে নেমে একটা গাড়ি নিয়ে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে ঘুরে নিতে পারেন এই অভয়ারণ্য। তবে ওই অরণ্যের ভিতর থাকার মজাই আলাদা। সেক্ষেত্রে অবশ্য কোলকাতা বা শিলিগুড়ি সেনা বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও শিলিগুড়িতে থেকে সুন্দর করে এই অরণ্য ঘুরে নিতে পারেন। হিমালয়ের পাদদেশে তিস্তা ও মহানন্দা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য শিলিগুড়ি থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত সুকনা এই অরণ্যের প্রবেশ দ্বার।
এই অভয়ারণ্য বহুদিনের পুরোনো। তবে মানুষের যাতায়াত একটু কম। বেশি নির্জনতা আছে।প্রায় ১৫৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুকনা অরণ্য ১৯৫৫ সালে গেম স্যানচুয়ারি হিসেবে পরিচিত ছিল। বাইসন, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণকে রক্ষা করতে ১৯৫৯ সালে এটিকে অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। সর্বোচ্চ ১৩০০ মিটার উঁচু এই বনের ৬০ ভাগ পার্বত্যভূমি এবং অবশিষ্ট অংশ সমতল। রয়েল বেঙ্গল টাইগার এখন খুবই দুর্লভ। ওই প্রজাতির বাঘ সুন্দরবনেও অনেক কমে এসেছে। কোনও রকম ভাবে টিকে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মহানন্দ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অন্যতম আকর্ষণ। দেখা মেলে এশীয় হাতি, বাইসন দেশী বন শুকর, সম্বর হরিণ, চিতাবাঘ, পাহাড়ি কালো ভাল্লুকেরও। বিভিন্ন মরসুমে এই বনে ভিড় করে বিভিন্ন প্রজাতি ও রংয়ের পরিযায়ী প্রাণী। যা দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।