দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গরমে একটু আরামের জন্য আমরা পাহাড়ে বেড়াতে যাই। কিন্তু এখন পাহাড়ে জন-কোলাহল থেকে দূরে বিভিন্ন অফবিট জায়গার সন্ধান করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তাই আমাদের আজকের ডেস্টিনেশন 'খারকা গাঁও'।
কালিম্পং শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয় এই খারকা গাঁও। কিন্তু শহুরে কোলাহলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই খারকা গাঁও। তাই তো চারদিক ঘেরা পাহাড় ও জঙ্গলে। আর রয়েছে পাহাড়ি ঝর্না। গরমের দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে বন্দে ভারতের টিকিট কেটে নিয়েছেন? কিন্তু উত্তরবঙ্গের কোন পাহাড়ি গ্রামকে আস্তানা বানাতে পারবেন, তা এখনও ঠিক করতে পারছেন না? তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য।
যদিও এখন উত্তরবঙ্গে ডেস্টিনেশনের অভাব নেই। গুগলে সার্চ করলেই চলে আসে হাজারো সমাধান। কিন্তু তার মধ্যে থেকে সেরাটা বেছে নেওয়া একটু কঠিন। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং জুড়ে বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে, যেখানে হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। আর সেগুলোই হয়ে উঠেছে অফবিট ডেস্টিনেশন। তাছাড়া শহুরে পরিবেশ থেকে পালিয়ে নিস্তব্ধতা, পাহাড়ি সৌন্দর্য ও পাখির ডাকের মাঝে থাকার সুযোগ রয়েছে এই অফবিট ডেস্টিনেশনগুলোতে। এমনই একটি অফবিট পর্যটন স্থান হল কালিম্পংয়ের খারকা গাঁও।
নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই খারকা গাঁও। তাই তো চারদিক ঘেরা পাহাড় ও জঙ্গলে। আর রয়েছে পাহাড়ি ঝর্না। হোমস্টেতে বসে সারাক্ষণ শোনা যাবে সেই ঝর্নার শব্দ। এই গ্রামে স্থানীয়দের ভিড়ও খুব কম। যাঁরা দু’দিনের জন্য নিরিবিলিতে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাঁদের জন্য সেরা ডেস্টিনেশন এই খারকা গাঁও। কালিম্পং থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই অফবিট। খারকা গাঁওতে রাত কাটিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন আশেপাশের অঞ্চল। কালিম্পং শহর থেকে খারকা গাঁও যাওয়ার পথে যেতে পারে ডেলো পাহাড়ে। মাত্র ১০ কিলোমিটারের পথ। খারকা গাঁও থেকে পায়ে হেঁটে জঙ্গলের মধ্যে ঝর্নাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এমনই একটি ঝর্না হল পঞ্চমী জলপ্রপাত। প্রায় ২০০ ফিট উচ্চ এই জলপ্রপাত। খারকা গাঁও থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটারের পথ এই জলপ্রপাত। যেতে পারেন ট্রেক করেও। আর পৌঁছে মাছও ধরতে পারেন। খারকা গাঁও থেকে সহজেই ঘুরে নিতে পারেন ফিক্কালে গাঁও, রামধুরা, ইচ্ছে গাঁওয়ের মতো বিভিন্ন অফবিট ডেস্টিনেশন।
যাওয়া ও থাকা - নিউ জলপাইগুড়ি থেকে খারকা গাঁওয়ের দূরত্ব মাত্র ৭৮ কিলোমিটার। মাত্র আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে গাড়িতে। খারকা গাঁওতে থাকার জন্য হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। সেখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ১,৫০০ টাকা।