Travel

1 year ago

Weekend Tour:সমুদ্রসৈকত - 'লালগঞ্জ'

Beach - 'Lalganj'
Beach - 'Lalganj'

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সবসময় কি আর দার্জিলিং বা সিকিম বা উত্তরাখণ্ড বা কাশ্মীরে যাওয়া সম্ভব হয়! পকেটে টান পড়লে বাড়ির কাছের সমুদ্রই ভরসা। সেক্ষেত্রে প্রথমেই হয়তো মাথায় আসে দীঘা-পুরী-বকখালি-মন্দারমনির কথা। তবে আপনি যদি চান একটু অচেনা কোনও জায়গায় যেতে, যেখানে লোকে-লোকারণ্যও হবে না আবার ভিড়ভাট্টা কম থাকার কারণে খরচও কম থাকবে সেক্ষেত্রে আপনার আদর্শ হবে এবারের ডেস্টিনেশন। চোখ বন্ধ করে চলে আসুন লালগঞ্জে।

সমুদ্রের ধারে এলে কিন্তু গরম সেভাবে টের পাওয়া যায় না। বিশেষ করে সকালে আর বিকেলে বিশেষ মনোরম থাকে আবহাওয়া। রাতের দিকে সমুদ্রের ধারের নোনা হাওয়ার মজা নিতে নিতে মাছ ভাজা যারা খাননি, তাঁরা জীবনের একটা বড় দিক মিস করে গিয়েছেন।

লালগঞ্জ কলকাতা থেকে একেবারেই কাছে। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিমি। গাড়ি নিয়েই পৌঁছে যাওয়া যায়। ট্রেনে করে তো যাওয়া যায়ই। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত। হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পেরিয়ে যেতে হয়। অর্থাৎ বকখালির বেশ কাছে। বকখালি ট্যুরের সঙ্গেও ঘুরে নিতে পারেন লালগঞ্জ।

সাদা বালির সমুদ্র সৈকতের পাশেই রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। রয়েছে ঝাউয়ের জঙ্গলও। আর সৈকত বেশ ফাঁকা। লোকের কোলাহল সেভাবে চোখে পড়ে না। বরং ঢেউয়ের গর্জনই বেশি। সঙ্গে বালির ফাঁক থেকে লাল কাঁকড়ার উঁকিঝুঁকি মারা তো আছেই। তবে ভাঁটার সময় জল অনেকটা পিছিয়ে যায়। তাই গ্রামের লোকের থেকে জেনে নিন জোয়ারের সময়।

সমুদ্রের থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে ঘরে বাইরে বিচ স্টে। এখানে থাকার ব্যবস্থা টেন্টে। দু' ধরনের টেন্ট রয়েছে। দুই শয্যা ও চার শয্যার। প্রতিটা টেন্টেই রয়েছে কুলার ও ফ্যানের ব্যবস্থা। রাতে টেন্টে বসেই শুনতে পারবেন সমুদ্রের গর্জন।

কীভাবে যাবেন:

শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চলে যান নামখানা। সেখান থেকে টোটো বা অটোতে করে পৌঁছে যান লালগঞ্জ।

পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ২ দিন ১ রাতের ছুটি কাটানোর এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর পাবেন না। চাইলে হেনরি অ্যাইল্যান্ড আর বকখালিও ঘুরতে পারবেন এখান থেকে। খরচ পড়বে মাথা পিছু ৫০০০ টাকার থেকে কমই। তাই আনন্দের সঙ্গে ঘুরে আসুন। আর এই অফবিট সমুদ্র সৈকতের খোঁজ ভাগ করে নিন সকলের সঙ্গে।

You might also like!