দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :প্রতি বছরই পুজোর কলকাতা যেন নতুন সাজে সেজে ওঠে। থিমপুজোর বাহার, আলোর ঝলকানি আর উপচে পড়া মানুষের ভিড়—এই ছবি দেখতেই অনেকে শহরকে তখন তাঁদের সেরা গন্তব্য ভাবেন। তবে সবার পছন্দ একরকম নয়। কারও কাছে পুজোর চারদিন মানে নিছক আনন্দ নয়, বরং প্রাপ্য বিশ্রাম। শহরের ভিড়ভাট্টা, কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে পাহাড়ের নির্জনতায় কিছুটা সময় কাটানোই তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় আনন্দ। এমন মানুষদের জন্যই অফবিট দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ি হতে পারে এক অনন্য আশ্রয়, যেখানে প্রকৃতির শান্ত সৌন্দর্য আপনাকে এনে দেবে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা।
বিজনবাড়ি হল উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা একটা এমন আস্তানা যা একটু অফবিট লোকেশনের সন্ধানে থাকা পর্যটকদের পছন্দের একদম তালিকার শীর্ষে। সারাদিন নদীর পাড়ে বসে সময় কেটে যাবে আপনার। তাই পুজোর কোলাহল এড়িয়ে একান্তে নিরিবিলিতে যদি সময় কাটাতে চান তাহলে এই গন্তবে আপনি নিশ্চিন্তে যেতে পারেন। কোন কোন জায়গা ঘুরে দেখবেন এই অঞ্চলের সেটাও জেনে রাখা দরকার। যেহেতু বিজনবাড়ির দূরত্ব দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার। তাই যাত্রাপথে ঘুরে নিতে পারবেন চংটং, সিংথাম’র মতো টি-এস্টেটগুলি। এই যাত্রাপথেই দেখতে পাবেন বেশ কিছু লুকিয়ে থাকা জলপ্রপাত যা আপনার মন ভালো করে দেবে।
বিজনবাড়ি থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কোলবং নামে আরও এক পাহাড়ি জনপদ। এখানে পর্যটকদের আসা যাওয়া সেই অর্থে নেই বললেই চলে। প্রকৃতি এখানে অন্যভাবে ধরা দেয়। শুধু তাই নয় এই কোলবংয়ের পাশেই রয়েছে সিকিম ও দার্জিলিং। তাই দার্জিলিং হয়ে বিজনবাড়ি না এসে থাকলে আপনি এখান থেকে দুই জায়গাই সহজে ঘুরে নিতে পারবেন।
বিজনবাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে পাবেন ঝেপি। রঙ্গিত নদী এখানে আপন খেয়ালে তিরতির করে বয়ে যায়। হোমস্টের সংখ্যা এখানেও বেশ তুলনামূলকভাবে কম। তবে যে কটি হোমস্টে রয়েছে সেগুলিতে পাবেন সেখানকার ফার্ম হাউজে ফলানো টাটকা সবজি। কি তাহলে কী ভাবছেন? যাবেন নাকি এই পুজোয় অফবিট বিজনবাড়িতে আপনার পুজোর ছুটিটা কাটাতে? তাহলে আর ভাবা কেন? আজই বুকিং সেরে ফেলুন আপনার এই পুজোর গন্তব্যের।