দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদানিং 'বিকল্প চাষ' শব্দটি খুব প্ৰচলিত। একই জমিতে একই চাষ বার বার না করে নতুন কোনো বিকল্প চাষ করা বা কোনো শস্য দানা চাষের মধ্যবর্তী সময় জমি ফেলে না রেখে অন্য কোনো চাষ করা। এবার মালদায় বিকল্প চাষ হিসাবে উঠে এসেছে আনারস চাষ। মালদার বামোনগোলা ব্লকের নালাগোলার বাসিন্দা নবদ্বীপ দেবনাথ আনারস চাষ করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। এখন তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলাকার অনেকেই আনারস চাষ শুরু করেছেন। বিকল্প চাষ হিসেবে ভালো সাফল্য পেয়ে খুশি এলাকার কৃষকরা। আনারস ফলিয়ে ভালো উপার্জনও করছেন কৃষকরা। মালদার বামনগোলা ব্লকের নালাগোলার বাসিন্দা নবদ্বীপ দেবনাথ একসময় গাড়িচালক ছিলেন। গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার সুবাদে আনারস চাষ শেখায় আগ্রহ বাড়ে তাঁর।
প্রথমে অন্যের জমি লিজে নিয়ে প্রথম আনারস চাষ শুরু করেছিলেন নালাগোলায়। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি আনারস চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি তিন বিঘা জমিতে আনারস চাষ করছেন। তাঁর দেখাদেখি এলাকার আরও বেশ কয়েকন কৃষক এই আনারস চাষ শুরু করেছেন। তাঁরাও ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন।
আনারসের চারা মূলত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই জমিতে লাগানো হয়। একবছর সময় লাগে গাছে ফলন হতে। পুনরায় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। ফল হওয়ার পর প্রায় তিন মাস সময় লাগে সেটি পাকতে। এরপর জুন-জুলাই মাসে শুরু হয় আনারস কাটা। এক বিঘা জমিতে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার আনারস চারা লাগানো যায়। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। সেখান থেকে আয় হয় প্রায় এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা। এবার মালদার অনেক কৃষক আনারস চাষের দিকে ঝুঁকেছেন।