Livelihood message

1 year ago

Millet cultivation:বাজরা চাষে ব্যাপক সাফল্য পেলো রাজস্থানের দীনেশ তেঙ্গুরিয়া

Millet cultivation
Millet cultivation

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদানিং বাজরা চাষে ভারত নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ করেছে। সাফল্য পেয়েছে হাতে হাতে। মনে আছে সেই সাফল্যকে প্রচারে আনার জন্যই গত বছরের ডিসেম্বরেই সংসদে বাজরা মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। দেশের বাজরা উৎপাদনে সাফল্য দেখে ২০২৩ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ দ্য মিলেট বলে আখ্যাও দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। বাজরার এই বছরেই ফসল ফলিয়ে তাক লাগিয়েছেন রাজস্থানের ভরতপুর জেলার পিপলা গ্রামের দীনেশ তেঙ্গুরিয়া। তাঁর ক্ষেতে যে বাজরা ফলে, তার দানা বা মাথার দিকটাই যে শুধু ৪ থেকে ৫ ফুট লম্বা! বিস্ময় জাগিয়েছে সবার মনে। 

  সাধারণভাবে ট্রেডিশনাল বাজরা মাথার দিকটা বড়জোর ১ ফুট হয়, কাণ্ডটা হয় ৬-৭ ফুট। কিন্তু দীনেশ তাঁর ক্ষেতে যে বাজরার চাষ করেন, তার মাথার দিকটা ৪ থেকে ৫ ফুট লম্বা, কাণ্ডের দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১০ ফুট। আর এমন কাণ্ড দেখেই দীনেশের বাজরা রাতারাতি তাঁর জেলায়, তাঁর রাজ্যে তো বটেই, আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশেও। দীনেশ জানিয়েছেন যে সাদা গোল্ড নামে পরিচিত এই বাজরার বীজ তিনি তুরস্ক থেকে আনিয়েছিলেন এক বন্ধুর পরামর্শে, কেন না এর জাত উচ্চ ফলনশীল। সেই সময়ে এর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫০০ টাকা। ২০ কেজি বীজ কিনতে তাঁর হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা, যা তিনি নিজের ৪ একর জমিতে বপন করেন। কিন্তু প্রথমেই সাফল্য আসে নি। প্রথমটা ছিল বেশ হতাশাজনক। প্রবল বৃষ্টিপাতে বেশিরভাগ বীজই নষ্ট হয়ে যায়। প্রথমটায় মুষড়ে পড়লেও দীনেশ তখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে লক্ষ্মী আসন পাততে চলেছেন তাঁর ঘরে। যে দুই একর জমির বীজ বেঁচে ছিল, তা থেকেই ফলন হয়েছে ৮০ মন্ড, বিক্রি করে লাখেরও উপরে টাকা ঘরে এনেছেন দীনেশ। দীনেশের থেকে উৎসাহিত হয়ে বাজরা চাষে মন দিয়েছে রাজস্থানের বহু কৃষক।


You might also like!