দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল আসা মানেই ঘরে ঘরে ঠোঁট ফাটার সমস্যা অন্যতম। পা ফাটার পাশাপাশি ঠোঁট ফাটার সমস্যাতেও ভোগেন নারী পুরুষ নির্বিশেষে অনেকে। এমনকি এই ঠোঁট ফাটা বাড়াবাড়ি হলে রক্তপাত পর্যন্ত দেখা যায়। সুতরাং যত্ন না নিলে এই সমস্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। আর ফাটা ঠোঁটের উপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগানো উচিত নয়। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা আছে যার মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা-
১) শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন নিতে হলে অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার দেওয়া লিপস্টিক মাখুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে ভিটামিন ই বা শিয়া বাটার দেওয়া লিপ বাম লাগাতে পারেন।
২) ঠোঁট ফাটার হাত থেকে বাঁচতে হলে ঠোঁটের আদ্রতা বজার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্দ্রতা ধরে রাখতে হলে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলাটা প্রয়োজন। চিনি গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। কাঠবাদামের সঙ্গে চিনি গুঁড়ো মিশিয়েও এক্সফোলিয়েট করতে পারেন।
৩) বাইরে বেরোলে অনেকেই ঠোঁটে লিপস্টিক পরেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরে এসে আর সেই লিপস্টিক তোলেন না। এই রকম হওয়া ভাল নয়। তাই বাড়ি ফিরে রাসায়নিক দেওয়া লিপস্টিক তুলতে অ্যালোভেরা রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন।
৪) নরম টুথব্রাশ বা পাতলা কাপড়ের টুকরো ভিজিয়ে ঠোঁটের উপর আলতো করে ঘষে নিন। খেয়াল করবেন যেন বেশি জোরে ঘষা না লাগে। এতে ঠোঁট আরও ফেটে যাওয়ার ভয় থাকে। আলতো করে ঘষার কারণে ঠোঁটের উপরের মৃত চামড়া উঠে যাবে। সপ্তাহে অন্তত একবার এভাবে ঠোঁট এক্সফলিয়েট করুন।
৫)বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। কারণ সূর্যরশ্মির প্রভাবেও ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। তাই মুখ মাস্কে ঢাকা থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে ঠোঁট সুরক্ষিত রাখা সহজ হবে। সানস্ক্রিনের মাত্রা যেন ১৫ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৬)অ্যালোভেরা সবসময়েই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অ্যালোভেরা শুষ্ক ঠোঁটকে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। রোজ ঠোঁটে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা দূর হয়।
৭)নারকেল তেলে প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে প্রত্যেকদিন ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
৮) রাতে শুতে যাওয়ার সময় ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুললে চলবে না। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মধুর সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে শুতে যান। এতে ঠোঁট আর্দ্র থাকে।