দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো মানেই কি প্রেম? প-এ পুজো, আর প-এ প্রেম—এই ভাবনা যেন আমাদের চিরাচরিত কল্পনারই এক অংশ। অষ্টমীর শাড়ি-পাঞ্জাবির চোখাচোখি, একসঙ্গে ফুচকা খাওয়া, বা রাত জেগে ঠাকুর দেখা—এসব না হলেই কি পুজোর আনন্দ ফিকে হয়ে যায়? বিশেষ করে যখন আশপাশের বন্ধুরা “জাস্ট ফ্রেন্ড” নামের মোড়কে নিজেদের প্রেম জমিয়ে রাখে, তখন ‘সিঙ্গল’ থাকা যেন একটু বেশিই চোখে লাগে। কিন্তু সত্যি কি তাই? নয়, মোটেও নয়। প্রেম মানেই শুধু রোমান্টিক ভালোবাসা নয়। নিজেকে ভালোবাসাও একধরনের প্রেম—আর সেটাই হতে পারে সবচেয়ে গভীর, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ভালোবাসা। এবার পুজোয় যদি মনের মানুষ না-ও থাকে পাশে, তবু মনখারাপ নয়। বরং নিজেকে সঙ্গী করে কাটিয়ে দিন এক চমৎকার, স্বাধীন, আনন্দময় উৎসব। কীভাবে কাটাবেন ‘প্রেমহীন’ পুজোটা আরও বেশি ভালোবাসায়? রইল কিছু উপায়—
১। হাতে স্মার্টফোন থাকলেই এখন কেনাকাটি করা সম্ভব। এক ক্লিকেই পছন্দসই পোশাক কেনা যায়। অবশ্য চাইলে অফলাইনেও কেনাকাটি করতে চান। অনলাইন কিংবা বাজারে ঘুরেফিরে পুজোর কেনাকাটি সেরে ফেলুন।
২। মনের মানুষ নেই বলে পুজোর আগে ত্বক ও চুলের যত্নে কোনও খামতি রাখবেন না। ব্যস্ততা সামলে সময় করে যান বিউটি পার্লারে। নিজেকে সাজিয়ে তুলুন।
৩। ঘর সাজালেও অনেকের মন ভালো থাকে। তাই পুজোর আগে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ঘরও সাজিয়ে তুলুন। কিনতে পারেন নতুন চাদর, পর্দা। নতুন ধরনের আলো কিনেও সাজাতে পারেন ঘর।
৪। সারাবছর অফিস, ডেডলাইনের ব্যস্ততায় এখন আর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার সময় পাওয়া যায় না। পুজোয় ছুটির কটাদিন অন্যান্য সম্পর্কগুলিকে ঝালিয়ে নিন। আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যেতে পারেন। তাঁদের নিজের বাড়িতে ডেকে নিতে পারেন। কিংবা কাছেপিঠে কোনও রেস্তরাঁ, কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। একসঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করলেও মন্দ হবে না।
৫। আপনি ঘরকুনো? তবে আপনার নিশ্চিন্তের নীড়েই কাটান পুজোর কটাদিন। ঘরে বসে ভালো ভালো ছবি কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখতে পারেন।
৬। পুজো মানেই দেদার খাওয়াদাওয়া। ডায়েটের কথা ভুলে ভালো খাবার খান। পেটের তৃপ্তি আনবে মানসিক শান্তি। তাতে মন ভালো থাকবে।
৭। পুজোর কটাদিনের ছুটিতে কোথাও একা একা ঘুরেও আসতে পারেন। তা সে পাহাড় হতে পারে কিংবা সমুদ্র। তবে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে আজই। আর বেশি দেরি করলে টিকিট কিংবা হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন।
প্রেম না থাকলেও, পুজোর আকাশটা কিন্তু ঠিকই নীল। বাতাসে কাশের গন্ধ, ঢাকের আওয়াজ, আলো-রঙ-শব্দ সবই আছে। শুধু নিজের চোখে দেখার আর উপভোগ করার মন চাই। কারণ ভালোবাসা যখন নিজের প্রতি হয়, তখন উৎসবও হয়ে ওঠে নিঃসঙ্গ নয়—অভিন্ন।