দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলা পাতায় (Banan Leaves) খাবার পরিবেশন (Food) করার চল ভারতের দক্ষিণের অনেক রাজ্যেই রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে মূলত অনুষ্ঠান বাড়িতেই দেখা যায় কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। আজকাল অবশ্য অনেক জায়গায় শালপাতার থালার মাঝে কলাপাতা রেখেও খাবার দেওয়া হয়। কিংবা চিনামাটির প্লেটের উপর গোল করে কাটা কলাপাতা রেখে খাবার পরিবেশনের চল রয়েছে অনেক অনুষ্ঠান বাড়িতে। তবে শুধু নিমন্ত্রণ বাড়িতে নয়, চাইলে আপনি মাঝে মাঝে নিজের বাড়িতেও কলাপাতায় খাবার খেতে পারেন। কারণ এই পাতায় খাবার পরিবেশন করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ক্যানসার রোগকে দূরে রাখে
কলা পাতায় উপস্থিত পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যানসার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও রোগ ধারে কাছে আসতে পারে না।
গলা ব্যথা বা জ্বরের উপশমে কাজ করে
ঠান্ডা-গরমের কারণে গলায় কি ব্যথা হয়েছে? তাহলে আজ থেকেই কলা পাতায় খাওয়া শুরু করুন। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরিমাণ মতো কলা পাতা ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন। এমনটা করল দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে। কারণ কলা পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কলা পাতার ভিতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর প্রদাহ কমাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে যে যে ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়েছে তাদেরও মারতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জ্বরের জ্বালা কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে কলা পাতায় যেমন খাওয়া শুরু করতে পারেন, তেমনি কলা পাতা দিয়ে তৈরি পানীয়তেও সমান উপকার পেতে পারেন।
পেটের সমস্যা কমায়
অ্যালেনটোইন এবং পলিফেনল নামক দুটি উপাদান যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই দুটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় রয়েছে Banana Leaves-এ। তাই তো নিয়মিত কলা পাতায় খাবার খেলে ইন্টেস্টাইনাল ব্লিডিং কমে, সেই সঙ্গে স্টমাক পেনের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। তাই হে খাদ্যরসিক বাঙালি পেটের রোগ থেকে যদি মুক্তি পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কলা পাতায় খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
ক্ষত সারায়
কলা পাতা খেলে ক্ষত সারে না। বরং ক্ষতস্থানে কলা পাতা বেঁটে লাগালে যন্ত্রণা তো কমেই। সেই সঙ্গে রক্তপাতও বন্ধ হয়ে যায়। চোটের জায়গায় ২-৩ দিন কলা পাতা বেঁধে রাখলে ক্ষত একেবারে শুকিয়ে যায়।
শুনতে অবাক লাগলেও একথা একেবারে ঠিক যে ওজন কমাতে বাস্তবিকই কলা পাতা দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে প্রমাণ মাপের একটি কলা পাতা নিয়ে গরম জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। এর পর সেই পাতাটা শরীরের সেই অংশে রাখতে হবে, যেখানে মেদ বেশি জমেছে। এর পর ওই কলা পাতাটা ১-২ ঘণ্টা রাখার পর সরিয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া এক কাপ কলা পাতা দিয়ে Banana Tea খেলেই কেল্লাফতে! এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহেল ওজন কমতে দেখবেন একেবারেই সময় লাগবে না।