দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা ভোট মিটতেই এবার কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াল রাজ্য সরকার। বিগত লোকসভায় পাস হওয়া তিন ফৌজদারি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক, সেই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনে স্থগিতাদেশ চান তিনি।
গত বছর অক্টোবর মাসে বিতর্কিত তিন নয়া ফৌজদারি আইনের খসড়া পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত আইনের ধারা নিয়ে তাঁর তীব্র আপত্তি আছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ''আমি দেখে অবাক যে ভয়ানক কঠোর ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে ওই খসড়ায়। যা জন বিরোধী।'' এই ইস্যুতে এর আগে গত নভেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। এবার তিনটি আইনে স্থগিতাদেশ চেয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই চিঠি লিখলেন তিনি।
পুরনো ফৌজদারি আইনে বদল এনে বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে আপত্তি তুলে এসেছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই নতুন আইন কার্যকর হওয়ার কথা। বিরোধীদের সমস্ত আপত্তি উড়িয়ে এমনই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। আইন কার্যকর হওয়ার কয়েকদিন বাকি থাকতেই প্রধানমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানালেন, তিনি চান এই আইন এখনই কার্যকর না করা হোক।
এই তিনটি নতুন আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত, এই তিন বিল ভারতের সামগ্রিক নীতির উপর শুধু প্রভাব ফেলবে না, ভারতের জনজীবনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব অবধারিতভাবেই পড়বে। অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে তিনি এ বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন। পাশাপাশি এই বিল পাশ হওয়ার পরই মমতা বলেছিলেন, “আগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ছিল। তা প্রত্যাহারের নামে কেন্দ্রের সরকার প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আরও কঠোর এবং স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে, যা মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে নাগরিকদের”।