দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় প্রচার অভিযানে নামছেন। তিনি এদিন কলকাতা উত্তর এবং দমদম লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করবেন। প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থনে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে সভা করবেন মমতা। অন্যদিকে দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় ও বরাহনগর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পদযাত্রা করবেনও মুখ্যমন্ত্রী।
এই কারণে কলকাতার একাধিক এলাকায় এদিন করা হচ্ছে যান নিয়ন্ত্রণ। তবে, এখনও পর্যন্ত কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে রুট ডাইভারশনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনার বিষয়ে জানান না হলেও, সারাদিনই বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে-
১) কলকাতার বড়বাজার থেকে ধর্মতলা, শিয়ালদা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে আজ সকাল থেকেই যান চলাচলের গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রেখেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
২) হাওড়ার থেকে কলকাতার দিকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলোর উপরেও বিশেষ নজর রেখেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গতরাতে চলেছে নাকা চেকিং। এছাড়া সকালেও হাওড়া থেকে আসা সমস্ত যানবাহনের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
৩) জনসভাকেন্দ্রীক এলাকাগুলোয় আজ সকাল থেকেই কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ নজর থাকছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ট্রাফিক পুলিশ সভা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা আগে থেকে সভা শেষ হওয়ার ১ ঘন্টা পর পর্যন্ত, এই সকল রাস্তাগুলি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই হিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মদন দত্ত লেন, দুর্গা পিতুরি লেন, গৌড় দে লেন, গঙ্গাধর বাবু লেন, ক্যানিং স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, গনেশচন্দ্র এভিনিউ, চৌরঙ্গী স্কোয়ার, চৌরঙ্গী রোড, এজেসি বোস রোড ও স্ট্যান্ড রোডের মতো রাস্তাগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কলকাতায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নির্বাচনী প্রচার থাকায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল বা শোভাযাত্রা বের হতে পারে। কিন্তু যান চলাচলের উপরে যাতে কোনওরকম প্রভাব না পড়ে তার জন্য ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ডাইভারশন করা হতে পারে বলেও জানাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সভাস্থলে কোনও অযাচিত ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আঁটসাঁট করা হয়েছে গোটা শররের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।