দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দু’দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে ২৯জন জয়ী সাংসদ গিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদদের সাফ জানিয়ে দেন, নিজের নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। আর তারপরই নেত্রীর কথা মতো কাজ শুরু করে দিলেন সাংসদরা। তার মধ্যে কীর্তি আজাদের ভূমিকা বেশ লক্ষ্যণীয়। কারণ নির্বাচনী প্রচারে যখন তিনি এসেছিলেন তখন অনেকটা সময় তালিত রেলগেটে আটকে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এই রেলগেট নিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সেদিনই বুঝতে পারেন কীর্তি। তালিত এলাকার মানুষজন উড়ালপুলের দাবি জানান তাঁকে। আর রবিবার তালিত রেলগেট পরিদর্শন করে বর্ধমান–দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে রেলের লিখিত প্রতিশ্রুতি নিয়ে একবছরের মধ্যে উড়ালপুলের কাজ শুরু হবে।
কাজ আদায় করতে প্রয়োজন পড়লে সাধারণ মানুষকে নিয়ে অবরোধেও বসতে পিছপা হবেন না বলে জানালেন সাংসদ। তালিত রেলগেট পরিদর্শনে এদিন সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক, বর্ধমান-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত।
রেলগেট ও সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখে এদিন সাংসদ বলেন, ‘তালিতের এই ৫৬ নম্বর রেলগেট নিয়ে বহু ক্ষোভ রয়েছে মানুষের মধ্যে। এখানে উড়ালপুল তৈরির দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচআই) ও রেল মন্ত্রকের। এনএইচআই একটি নকশা তৈরি করে রেলকে পাঠিয়েছিল। রেল সেখানে পরিবর্তন চেয়ে আবার তাদের ফেরত দিয়েছে। আবারও আর একটি নকশা রেলকে পাঠানো হয়। তবে তার কোনও উত্তর রেল এখনও দেয়নি। ওরা ফুটবল খেলছে। সংসদে গিয়ে এনডিএ সরকারের পূর্ত আর রেল মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এই ফুটবল খেলা বন্ধ করাব। কাজ করতেই হবে এবার এনডিএ সরকারকে। না হলে আমি জনতার দরবারে এসে জানাব। তাদের নিয়ে আন্দোলন করব।’
কীর্তি আজাদ অভিযোগ করে বলেন, ‘এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ (এসএস আলুওয়ালিয়া) তালিত রেলগেট নিয়ে কোনও কাজই করেননি। শুধু মিথ্যা বলে গিয়েছেন যে রাজ্য সরকার জমি, টাকা দেয়নি বলে কাজ করা যায়নি।’
সূত্রের খবর, এদিন দলীয় ভাবে কীর্তি আজাদ জানিয়েছেন, মাস তিনেক অপেক্ষার পর প্রয়োজনে তিনি নিজে এখানে এসে অবরোধ করবেন। রেলের লিখিত প্রতিশ্রুতি নিয়ে তবেই তুলবেন অবরোধ। এ প্রসঙ্গে কীর্তি আজাদ বলেন, ‘আমি আগামী একবছরের মধ্যে উড়ালপুলের কাজ শুরু করাবই। তার জন্য যা করতে হয় করব। আন্দোলন করেই তৃণমূল বাংলায় এসেছে। আর দিদি আমাকে এখানে পাঠিয়েছে উন্নয়ন করার জন্য। সেটা আমি করবই। আমি জানি কীভাবে কাজ আদায় করতে হয়।’