kolkata

3 hours ago

Partha Chatterjee: পার্থের ‘শেষ’ মামলার শুনানি শেষ, জামিনে প্রাক্তন মন্ত্রী জেল থেকে মুক্তি পাবেন

Partha Chatterjee
Partha Chatterjee

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টে আরও একটি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন আবেদন শুনানি সম্পন্ন হলো। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে সোমবার এই শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আপাতত রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছেন। জামিন মঞ্জুর হলে তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন।

২০২২ সালের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথম গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এবং তারপর থেকে তিনি জেলে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ও সিবিআইয়ের বিভিন্ন মামলায় তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত সাত হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। এখন বাকি শুধু প্রাথমিক শিক্ষকের মামলাটি। সোমবার সেই মামলার শুনানি কলকাতা হাই কোর্টে সম্পন্ন হয়। পার্থের আইনজীবী জানিয়েছেন, যদি প্রাথমিক মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়, তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন। তবে রায় ঘোষণা কখন হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

পার্থ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। সোনাদানা, বাড়ি মিলিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এর পর গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-সহ একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। ইডির পর তাঁকে সিবিআই-ও গ্রেফতার করে। গঠন করা হয় চার্জশিট। পার্থঘনিষ্ঠ অর্পিতা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পার্থ এখনও জেলে। বার বার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। দেখিয়েছেন শারীরিক অসুস্থতার কারণও।

প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গত ২৭ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতে পার্থ ছাড়াও অয়ন শীল, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়দের নাম রয়েছে। এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছিলেন পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। রাজসাক্ষী হওয়ার পর অভিযুক্তদের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ মামলায় অনেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কেন পার্থকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না, আদালতে বার বার সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এই সংক্রান্ত আবেদনের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের যুক্তি, পার্থ নিয়োগ দুর্নীতির ‘মূল মাথা’। মন্ত্রিত্ব হারালেও তিনি প্রভাবশালী। তাই তিনি জেল থেকে বেরোলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। প্রাথমিকের মামলায় হাই কোর্ট কী রায় দেয়, এখন সে দিকে তাকিয়ে সকলে।

You might also like!