দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাঙালি হেনস্তা’ ইস্যুতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন উত্তাল হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করতেই বিজেপি বিধায়করা হইচই শুরু করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও গন্ডগোল চলতে থাকলে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, মিহির গোস্বামী এবং বঙ্কিম ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়। এছাড়াও, আগামী অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে অশোক দিন্দাকে। এর আগে গত সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চাপানউতোর। এই ইস্যুতে আলোচনায় গত সোমবার থেকে বিধানসভায় চলছে বিশেষ অধিবেশন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে শুরু করা মাত্রই বাধা দেয় বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে বলেন, বিজেপি বিধায়কদের বলতে দেওয়া হোক। স্পিকার নির্দেশ দেন। তারপরেও বিজেপি বিধায়করা বক্তব্য রাখেননি। পরিবর্তে চিৎকার করতে শুরু করেন। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের নেতৃত্বে শুরু হয় হই হট্টগোল। বারবার স্পিকার সতর্ক করেন শংকরকে। তবে তারপরও চিৎকার করতে থাকেন শংকর-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। এরপরই ৩৪৮ ধারায় শংকরকে সাসপেন্ড করা হয়। মার্শাল ডেকে তাঁকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। সেই সময় মাটিতে শুরু পড়েন বিজেপি বিধায়ক। মার্শালদের সঙ্গে টানাহ্যাঁচড়া শুরু হয়। শংকরকে ঘিরে রেখে অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা কাগজ ছিড়ে ছুড়তে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ মার্শালদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। অবশেষে প্রায় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় শংকরকে।
এরপরই বলতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিজেদের আসন ছেড়ে বেরিয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। বিজেপির উদ্দেশে ‘চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তৃণমূল বিধায়কদের স্লোগান দিতে বলেন। প্রথমে অরূপ বিশ্বাসকে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেন। তারপর নিজে আসন ছেড়ে নেমে আসেন। সকলকে নিজেদের চেয়ারে বসতে বলেন। তৃণমূল বিধায়করা শান্ত হন। এরপর ফের চিৎকার করতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কেন সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা নিয়ে ফের তুমুল বিক্ষোভ দেখান। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় অগ্নিমিত্রা পল এবং মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষকে।