
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের বুকে ভয়াবহ জো়ড়া হামলা। রাজধানী ইসলামাবাদে জেলা আদালতের সামনে হঠাৎই বোমা বিস্ফোরণ, কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের শব্দ অনেক দূর পর্যন্ত শোনা গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন আরও অনেকে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাক সেনার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের সত্যতা স্থানীয় পুলিশ স্বীকার করেছে। পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। তবে কী থেকে বিস্ফোরণ, তা এখনও জানা যায়নি। আমাদের ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’ জানা গিয়েছে, জেলা আদালতে প্রবেশের মুখে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। অন্য দিকে, আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়ায় পাক সেনা কনভয়ে সোমবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। পাকিস্তান সেনা এবং ফ্রন্টিয়ার কোর পার্সোনেলের কনভয় ফিরছিল ডেরা ইসমাইল খান জেলার লোনি পোস্টে। সে সময়ই বিস্ফোরণ।
সোমবারই খাইবার পাখতুনখোয়ার অন্য এক দিকে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। দক্ষিণ-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়ার আফগান সীমান্ত গ্রামে এক কলেজের গেটে ওই হামলায় ছ’জন আহত হন। স্থানীয় নিরাপত্তা আধিকারিক সূত্রে দাবি, ওই হামলার নেপথ্যে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিরা। বর্তমানে পাকিস্তানে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম টিটিপি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনার দায় তারা স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, অনেক টিটিপি নেতাই এখন আফগানিস্তানের তালিবানের আশ্রয়াধীন। যদিও আফগানিস্তান বরাবর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় বারবার হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি। ওই অঞ্চলে প্রায়ই পাক সেনার সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই হয়, মাঝে মাঝে তারা সরাসরি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলাও চালায়। সম্প্রতি প্রদেশে এক বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে সোমবার রাতের ঘটনার সঙ্গে টিটিপির কোনো যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
