International

8 months ago

Women in Bangladesh: একাকীত্বের শিকার বাংলাদেশের মহিলারা! কি বলছে সমীক্ষা?

Lonliness of a women (File Picture)
Lonliness of a women (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বছরের শেষের দিকে ১৪২টি দেশে মেটা-গ্যালাপ একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি একাকীত্বে ভোগেন। এদিকে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মনে করেন যে তারা একা নন। এক উলটো চিত্র মিলল বাংলাদেশে। ​​ওই সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের প্রায় ৩৯ শতাংশ মানুষ একাকীত্বে ভুগছেন।

মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে একাকী বাস করতে পারে না সাধারণ মানুষ। গত বছরের শেষের দিকে একটি সমীক্ষা চালায় মেটা-গ্যালাপ। ১৪২টি দেশে ওই সমীক্ষা চালানো হয়। তার ভিত্তিতে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মেটা-গ্যালাপ। তাদের মতে, বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি একাকীত্বে ভোগেন।

ওই সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করেন তারা একা নন। সব থেকে বেশি একাকীত্বে ভুগছেন প্রায় ৩৯ শতাংশ মানুষ। আ কিছুটা একাকীত্বে ভোগেন প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ।

মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কারা বেশি একাকীত্বে ভুগছেন তাও জানিয়েছে মেটা গ্যালাপ। এই নিয়ে একটি তুলনামূলক হিসাব করেছে তারা। মেটা-গ্যালাপ জানিয়েছে, বাংলাদেশের ৩৭ শতাংশ পুরুষ একাকীত্বে ভোগেন। কিছুটা একাকী পুরুষ আছেন প্রায় ১৯ শতাংশ। তবে, বাংলাদেশের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষ নিজেদের একাকী বলে মনে করেন না।

পুরুষদের তুলনায় বেশি একাকীত্ব অনুভব করেন মহিলারা। বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মহিলা একাকীত্বে ভোগেন বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। ওয়েবসাইটে তাদের এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। সেই হিসাব অনুসারে কিছুটা একাকীত্বে থাকেন ২০ শতাংশ মহিলা। আর নিজেদের একাকী মনে করেন না বাংলাদেশের ৩৮ শতাংশ মহিলা।

ওই গবেষণা সংস্থার হিসাবে, বিশ্বের ১৪২টি দেশের প্রায় ৩২০ কোটি মানুষ নিজেদেরকে সামাজিকভাবে যুক্ত বলে মনে করেন। আর নিজেদের একাকী বলে মনে করেন ৬ শতাংশ মানুষ। প্রায় ৭৩ শতাংশ পুরুষ নিজেদের সামাজিকভাবে যুক্ত বলে মনে করেন। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৭২ শতাংশ।

তাদের হিসাবে, মঙ্গোলিয়ার বাসিন্দারা নিজেদের সবথেকে বেশি সামাজিকভাবে যুক্ত বলে মনে করেন। সেখানে এই রকম পুরুষ প্রায় ৯৬ শতাংশ এবং মহিলা ৯৪ শতাংশ।

কী কারণে এই রকম একটি গবেষণা করা হয়েছে সেটা জানিয়েছে মেটা-গ্যালাপ-এর সিনিয়র গবেষক আনিয়া দ্রাবকিন। তিনি বলেন, 'আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক রাখা। বিশ্বের সব সম্প্রদায়কে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা আমাদের লক্ষ্য। যারা একাকীত্বে ভুগছেন তাদের সব ধরনের মানসিক সাহায্য করাও আমাদের কাজ।'

You might also like!