Health

1 year ago

Bladder Tumor : প্রস্রাবের সাথে রক্তক্ষরণ? কোন রোগের ইঙ্গিত? পরামর্শ দিচ্ছেন ডাঃ নীলাঞ্জন মিত্র

Bleeding with urine? Any indication of disease? Dr. Nilanjan Mitra advises
Bleeding with urine? Any indication of disease? Dr. Nilanjan Mitra advises

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে শরীরে নানান অসুখ দানা বাঁধে। এইরকমই হঠাৎ যদি দেখা যায় প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়া ও রক্তক্ষরণ জ্বালা যন্ত্রণাহীন। এইরকম কিছু দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ আপৎকালীন ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞের পারমর্শ নেওয়া জরুরী। কারণ ব্লাডার ক্যানসারের মূল উপসর্গ হল যন্ত্রণাহীন হিমাচুরিয়া। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা হয় তাহলে রোগীকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব। জানালেন কনসালটেন্ট ইউরোলজিস্ট ডাঃ নীলাঞ্জন মিত্র।

ব্লাডার টিউমারের কী? 

মানবদেহের অ্যাবডোমেনের ঠিক নীচে অবস্থান করে ইউরিনারি সিস্টেমের এক বিশেষ অংশ মূত্রথলি। মুত্র ইউরেটার নামক দুটি নালীর ভিতর দিয়ে ব্লাডারে এসে জমা হয় ও উভয় কিডনি থেকে বেরিয়ে এসে ইউরেটারে ইউরিনারি ব্লাডারে যুক্ত হয়।
ব্লাডার টিউমার হল ব্লাডার টিউমারের ক্ষেত্রে ব্লাডারের সেলগুলি নিয়ন্ত্রণহীন বৃদ্ধির কারণে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। এরা তখন শরীরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণমূলক মেকানিজম মানে না। বেশিরভাগ ক্যান্সার মূলত ব্লাডারের একেবারে ভিতরের স্তরে শুরু হয়।
অবশ্য অন্যান্য টিউমারের মতন ব্লাডার টিউমারের পিছনে সঠিক কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এক্ষেত্রে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করে। যেমন --- অতিরিক্ত ধূমপান, কোন বিশেষ কিছু কেমোথেরাপি নিলে, ক্রণিক ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন থাকলে, রোগীর বয়স ৬০-এর উর্দ্ধে হলে, এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে জিন মিউটেশনও দায়ী থাকে।
ব্লাডার টিউমার মানেই যে ক্যানসার-এর সম্বন্ধে বিষদ জানার উদ্দেশ্যে এক রিপোর্টে জানা যায়, ব্লাডারে যে টিউমার দেখা যায় সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। খুব কমই বিনাইল টিউমার দেখা যায়।

ব্লাডার টিউমারের উপসর্গ :

প্রধান উপসর্গ হল মূত্রের সাথে রক্তক্ষরণ, যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় পেইনলেস হিমাচুরিয়া। প্রস্রাবে জ্বালা ও যন্ত্রণার অনুভব ও ওজনকমে যাওয়া। ইনফেকশন, জ্বর হওয়া ও অ্যাডভান্সড স্টেজে প্রস্রাব আটকে তলপেটে যন্ত্রণা হওয়া।


এটা মূলতঃ তিন ধরণের ব্লাডার টিউমার বেশী দেখা যায় --- Transitional Cell Bladder Cancer  বেশিরভাগ ব্লাডার টিউমার এই প্রকৃতির হয়ে থাকে।


ছবি সৌজন্যেঃ cancer.org

ব্লাডার টিউমার শনাক্ত করণের ক্ষেত্রে রুটিন ইউরিন অ্যানালিসিসের প্রয়োজন হয়।
এখানে দেখা হয় ইউরিনে ব্লাড সেল আছে কিনা বা ব্লাড সেল থাকলে মাইক্রোস্কোপিক অ্যানালিসিস করে দেখা হয়। আলট্রা সোনোগ্রাফির মাধ্যমে ব্লাডারের সাথে কিডনির অবস্থান দেখা হয়। সিস্টোস্কোপির জন্য টিউমারের ধরণ দেখা হয়। এর সাথে রেনাল ফাংশন টেস্ট এবং কনট্রাক্ট সিটি স্ক্যান করা হয়।
বেশি বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে ভিতরের ব্লাডার, টিউমার বা ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও ভিতরেও এটি হয়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ব্লাডার ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ব্লাডার ক্যান্সার চিকিৎসা

মাইক্রোসার্জারির দ্বারা ব্লাডার ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু হয়। এক্ষেত্রে দেখে নেওয়া হয় তার গ্রেড ও স্টেজ। এরই ওপর নির্ভর করে পরবর্তী চিকিৎসা। টিউমার দু ধরণের হয়। সুপারফিসিয়াস ও ইনভেসিভ। সুপারফিসিয়াসের ক্ষেত্রে মূলত লো রিস্ক টিউমার সিস্টোস্কোপি ফলে অল্প এবং প্রয়োজন হলে ব্লাডারে ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়া হয়। ওই টিউমারের রেফারেন্স চান্স খুব বেশি সেইজন্য নিয়মিত চেকআপের প্রয়োজন হয়। ইনভেসিভ টিউমারের ক্ষেত্রে গ্রেড ও স্টেজ অনুযায়ী সম্পূর্ণ ব্লাডার ও তার চারপাশের লিম্ফনোড সার্জারির মাধ্যমে অপসারিত করা হয়। অ্যাডভান্সড স্টেজে ব্লাডার অপসারিত না করলে রক্তপাত আটকানোর জন্য ইউরিনারি ডাইভারশন করে দেওয়া হয়।
ব্লাডার টিউমারের ক্ষেত্রে র‌্যাডিকাল সিস্টেক্টমির একটি ভূমিকা আছে। এটি ইউরোলজির মেজর প্রসিডিওর। পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্লাডার, প্রস্টেট, সেমিনাল ডেমিক্যাল লিম্ফ নোডাল টিস্যু ইত্যাদি ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্লাডার ইউটেরাস, ভ্যাজাইনারের কিছু অংশ লিম্ফনোড টিস্যু অপসারণ করা হয়। ব্লাডার অপসারণ করার পরে এই জায়গায় এক কৃত্রিম ব্লাডার তৈরী করা হয়। পেটের বামদিকে একটি ড্রেন বা রাস্তা করা হয় যা দিয়ে প্রস্রাব বেরিয়ে আসে।
ব্লাডার টিউমারের ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি তখনই প্রয়োজন হয় যখন রোগী যদি অ্যাডভান্সড স্টেজে থাকে ও রোগী যদি radical Gstectomy করার উপযুক্ত না হন, তখন রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি বা দুটিই একইসাথে দেওয়া হয়। এছাড়া দেহের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লেও কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয়ে থাকে।


ছবি সৌজন্যেঃ medikaynak.com

ব্লাডার টিউমারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। যেমন --- ধূমপান বর্জন, আগে ব্লাডার ক্যান্সার  হলে Upper trach sevillance test করা উচিত। এছাড়াও ইউরিন টেস্ট ও কার্ড টেস্ট করা হয়। হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলা উচিত। দীর্ঘদিন UTI-এর সমস্যা থাকলে সতর্কতা এবং কোনও প্রকার অস্বাভাবিক দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই জরুরী।


Dr. Nilanjan Mitra

MBBS, MS - General Surgery, MCh - Urology
Urological Surgeon,
18 Years Experience Overall  (13 years as specialist)
AndrologistLaparoscopic Surgeon

বর্তমানে ঢাকুরিয়া,মুকুন্দপুর AMRI Hospital এবং DESUN Hospital এর সাথে যুক্ত 


বিশদে জানতে যোগাযোগ করুনঃ 9830426221/9874195200
Email: drnilanjanmitraurologist@gmail.com


You might also like!