দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, ঋষভ পন্তরা রঞ্জি ট্রফির শেষ রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামেন। তবে চোট থাকায় বিরাট কোহলি রঞ্জিতে ফেরেননি রোহিতদের সঙ্গে। তবে ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা রঞ্জির পরবর্তী রাউন্ডের ম্যাচে দিল্লির হয়ে মাঠে নামবের বিরাট। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এলিট ডি-গ্রুপের এই ম্যাচে দিল্লির প্রতিপক্ষ রেলওয়েজ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিরাট কোহলি শেষবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মাঠে নামেন ২০১২ সালের নভেম্বরে। অর্থাৎ, দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল কোহলি লাল বলের ক্রিকেটে দেশের সর্বোচ্চ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাঠে নামেননি। এমতাবস্থায় বিরাট কোহলির শেষ রঞ্জি ম্যাচ নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, প্রথম ও শেষ রঞ্জি ম্যাচ।
* বিরাট কোহলির প্রথম রঞ্জি ম্যাচ (দিল্লি বনাম তামিলনাড়ু, ২০০৬): বিরাট কোহলি প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মাঠে নামেন ২০০৬ সালে। ফিরোজ শাহ কোটলায় সেই ম্যাচে দিল্লির প্রতিপক্ষ ছিল তামিলনাড়ু। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেই ম্যাচে কোহলির সঙ্গে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় ইশান্ত শর্মা ও মুরলি বিজয়ের।সেই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে তামিলনাড়ু। প্রথম ইনিংসে তারা ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে। ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন এস বদ্রিনাথ। ৫৯ রান করেন মুরলি বিজয়। ইশান্ত শর্মা ৪ উইকেট দখল করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে দিল্লি তাদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৪৯১ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। শিখর ধাওয়ান ১০৬, রজত ভাটিয়া ১৬৬ ও বিজয় দাহিয়া ১৫২ রান করেন। বিরাট কোহলি ১০ রান করেন। তামিলনাড়ু দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৬৬ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। মুরলি বিজয় ৩৮ রান করেন।
* বিরাট কোহলির শেষ রঞ্জি ম্যাচ (দিল্লি বনাম উত্তরপ্রদেশ, ২০১২):বিরাট কোহলি শেষবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মাঠে নামেন ২০১২ সালে। গাজিয়াবাদের সেই ম্যাচে দিল্লির প্রতিপক্ষ ছিল উত্তরপ্রদেশ। এই ম্যাচে কোহলির ক্যাপ্টেন ছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। সতীর্থ ছিলেন গৌতম গম্ভীর, উন্মুক্ত চাঁদ, আশিস নেহরা, ইশান্ত শর্মা, প্রদীপ সাঙ্গওয়ানরা। প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ কাইফ, সুরেশ রায়না (ক্যাপ্টেন), প্রবীণ কুমাররা। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দিল্লি। তারা প্রথম ইনিংসে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে। পুনিত বিস্ট ৫২ রান করেন। বিরাট কোহলি করেন ১৪ রান। ইমতিয়াজ আহমেদ ৫ উইকেট নেন। ভুবনেশ্বর নেন ১টি উইকেট।পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৪০৩ রান। ১১৬ রান করেন মুকুল ডাগর। ৯১ রান করেন মহম্মদ কাইফ। ৫৫ রান করেন সুরেশ রায়না। ৫১ রান করেন প্রবীণ কুমার। ৪ উইকেট নেন সুমিত নারওয়াল।দিল্লি দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২২ রান তোলে। ১০৭ রান করেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। ৪৭ রান করেন গৌতম গম্ভীর। বিরাট কোহলি ৪৩ রান করে আউট হন। ৪টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও ইমতিয়াজ আহমেদ। উত্তরপ্রদেশ শেষ ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩৭ রান করেন সুরেশ রায়না। ১টি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা।