দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতার গলি থেকে রাজপথ সর্বোত্র সেজে উঠছে আলোর রোশনাইতে, যদিও যেখানে পুজোর সংখ্যা একটু বেশী সেখানে আলোর রোশনাই খানিক জমকালো। সে ভাবে দেখলে পার্ক স্ট্রিট, ইকোপার্ক চত্বরে তেমন পুজোর হয় না ,পুজোর দিনে বলে কথা পুজো হয় না বলে কী আর সে রাস্তা অন্ধকারে মুখ ঢাকবে? যদিও বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষে এ রাস্তার দেখনাই বেড়ে যায় কয়েক গুন, অজস্র লোকের ভিড় আর আলোর সাজে চেনা দায় এই কর্পোরেট চত্বরকে। এবার সেই আলোর রোশনাই আর কেবল বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষেই নয় দেখা যাবে শারদীয়া উৎসবেও।
নেটের উপর এলইডি দেওয়া আলোয় এবার পুজোয় (Kolkata Durga Puja) সাজবে পার্ক স্ট্রিট। চন্দননগরের আলোয় কর্পোরেট পারা হয়ে উঠবে আলো ঝলমলে। মহালয়ার পর থেকেই জ্বলে উঠবে আলো। থাকবে ছটপুজো পর্যন্ত। পার্ক স্ট্রিট মোড় থেকে পুলিশ কমিশনারের বাংলো পর্যন্ত হবে বড় বড় দশটা গেট। মা দুর্গার মুখ। সেই সঙ্গে ঢাক, কুলো, চালুনি, ডাব, নৈবেদ্যর মতো পুজোর উপকরণগুলোই আলোর থিমে ওই গেটে ফুটিয়ে তোলা হবে। তবে এবারের বৈচিত্র নেটের উপর এলইডির খেলা।
এই আলোয় এবার সাজানো হবে ইকোপার্কের সামনে থেকে চিংড়িঘাটা। পাঁচটা বড় গেট হবে এখানেও। এখানকার আলোও আসছে চন্দননগর থেকে। পার্ক স্ট্রিট আলোয় সাজাবে কলকাতা পুরসভা। আর ইকোপার্কের অংশ সাজাবে হিডকো। পার্ক স্ট্রিটের রাস্তার পাশাপাশি সাজানো হবে অ্যালেন পার্কও। আলোর শহর চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা।চন্দননগরের পালপাড়া, বিদ্যালঙ্কার চত্বরে একের পর এক কারখানায় চলছে কাজ। বিভিন্ন রকমের থিম তৈরি হচ্ছে সেখানে। তাতে যেমন আছে চন্দ্রযান তেমনই আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংও।
প্রতি বছরই চন্দননগরের শিল্পীরা আলোর জাদুতে সাধারণ মানুষকে চমকে দেন। এখানকার আলো দেশের গন্ডি পার করে বিদেশেও যায়। এবারও তার অন্যথা নয়। কলকাতার না না পুজো প্যান্ডেল তো বটেই এবার চন্দননগরের শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় সেজে উঠবে কলকাতার দুই কর্পোরেট চত্বর ও।