Festival and celebrations

1 year ago

Pujo Special Resturant: পুজোর পেটপুজো জমে উঠুক শহরের কয়েকটি রেস্তরাঁয়! রইল হদিশ

Pujo Special Food Cuisine (Symbolic Picture)
Pujo Special Food Cuisine (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাঙালির প্রিয় দুর্গা পুজো মানেই ভোজনকে বাদ দিলে চলে না। পুজোর পাঁচদিন হইহুল্লোড়তো থাকবেই, কিন্তু তাঁর সাথে খাওয়াদাওয়াটা কিন্তু মাস্ট। বাঙালির পুজোতে মোঘলাই থেকে চাইনিজ, নানান রকম ঘরানার খাবারেরই আলোচনা চলে। প্যান্ডেল হপিংয়ে বেড়িয়ে দুপুরবেলা কিংবা রাতে  বাঙালী করে কোন রেস্তরাঁতে কি খাবার পাওয়া যেতে পারে। তবে আসুন না, আজ আমরা ঘুরে দেখি শহরের কিছু সেরা খাবার রেস্তরাঁ। যেখানে পুজোর পাঁচ দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন যেতেই হচ্ছে। 

৬, বালিগঞ্জ প্লেস–


সাবেকিয়ানায় এই রেস্তোরাঁর জুরি মেলা বড়ই কঠিন। এখানে এলে আপনি পেয়ে যাবেন এক বঙ্গ খাবারের ঘরানা। শুরুতেই থাকছে গন্ধরাজ ঘোল। তারপরেই প্রথা মেনে প্রথম পাতেই থাকছে শাক ভাজা! সপ্তমীতে লাল শাক, অষ্টমীতে কলমি শাক এমনকি নবমী-দশমীতে পোস্ত দিয়ে নটেশাক ভাজা। লুচি থেকে রাধাবল্লভী, কড়াইশুটির কচুরি কী নেই? নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, হিংয়ের আলুর দম, ছানার মায়ালু, ধোকার ডালনা, ঝুরি আলু ভাজা। আমিষের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদি গ্রিলড চিকেন, ভেটকি ফ্রাই, পাতুরি, শির মালাইকারী, কাঁচালঙ্কা ধনেপাতা মুরগি থেকে ভুনা চিংড়ি এমনকি টম্যাটো পোস্ত মুরগি রকমের শেষ নেই। শেষ পাতে আমের চাটনি, খেজুর আমসত্ত্বের চাটনি মিষ্টিমুখের আয়োজনেও খামতি নেই একেবারেই। মিষ্টি দই থাকছেই, সঙ্গে রাজভোগ থেকে কালোজাম, ছানার পায়েস, বেকড মিহিদানা এবং রাবড়ি। 

ওহ ক্যালকাটা


ওহ ক্যালকাটা স্যালাড ডিপার্টমেন্ট কিন্তু দারুণ ভাল। ইউনিক কিছু অবশ্যই দেখতে পাবেন! যেমন মাছের ডিমের স্যালাড থেকে গন্ধরাজ মুরগির স্যালাড এমনকি মুরগি আনারসের স্যালাড বটে। দই বড়া থেকে চাট, আলু কাবলি থেকে ফল আহার চাট কোনটা চাই? স্টার্টারে ফিশ ফ্রাই তো বটেই, সঙ্গে কাসুন্দি পনির টিক্কা, ঢাকাই তন্দুরি মুর্গ, নওয়াবি তন্দুরি মুর্গ থেকে আম আদা পনির রোস্ট কী নেই! মেন কোর্সের লিস্ট বেশ বড়! ঠাকুরবাড়ির চিংড়ি থেকে পাবদা তেল বড়ি ঝাল, চিকেন কোর্মা থেকে মাটন ঘি রোস্ট, সজনেখালি মাংসের ঝোল সবই পাবেন। সপ্তমী থেকে দশমী মেনু কিন্তু বেশ আলাদা। ওহ ক্যালকাটার সদস্য শেখর বলেন, ষষ্ঠীর বাফেট মেনু কিন্তু একেবারেই মিস করা যাবে না। স্পেশ্যাল কী? ছানা কড়াইশুটির চপ থেকে কাঁচা লঙ্কা মুরগি, নিরামিষ মেথি মটর পনির এবং বাদশাহী ছোলার ডাল। 

আউধ ১৫৯০–


হান্ডি বিরিয়ানি থেকে রান বিরিয়ানি তো থাকছেই। কাবাবের মধ্যে গলোটি কাবাব এবং লখনউ পরোটা কলমি কাবাব না খেলে কিন্তু মিস করবেন। গ্রেভিতে নিহারি খাস, কিমা কলেজি এবং মুর্গ মুসল্লম আপনাদের সবসময়ের পছন্দ। শুধু আউটলেট নয় একেবারেই swiggy এবং Zomato দুটিতেই আপনারা অর্ডার দিলেই টেস্টি খাবার কিন্তু হাতের মুঠোয়। 

ভুতের রাজা দিল বর!



নিরামিষ আমিষ ভাজাভুজি এবং নানান পদের আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর মহাভোজ থালি কিন্তু দারুণ ব্যাপার। কী কী থাকছে? ভাত শুক্তো, ডাল, ভেটকি, চিকেন, ইলিশ, চিংড়ি আরও কত কী! খেতে কিন্তু একাই হবে, ভাগের কোনও বিষয় নেই। যাদবপুর এবং চন্দননগর উভয় আউটলেটে মিলবে ভুরিভোজ। 

সপ্তপদী


সপ্তপদী রেস্তোরাঁর অন্যতম সদস্য রঞ্জনের বক্তব্যে সাবেকিয় থেকে ফিউশন খাবারে থাকছে আলাদাই কদর।রবি ঠাকুরের ভাইজি প্রজ্ঞসুন্দরি দেবী সারা দেশ ঘুরে নিজের কেরামতিতে নতুন খাবারের ইনভেন্ট করতেন তাই রেস্তোরাঁর এবারের নতুনত্ব ঠাকুরবাড়ির রান্না। স্পেশাল আইটেম হিসেবে থাকছে শারদ সুন্দরী থালি আর তাতে রয়েছে নানা পদের আয়োজন। চিংড়ি চিরে চ্যাপ্টা, মুরগি বাদাম পেয়াজি, জাগুরাথ মাটন থেকে বেগুন মুগ মনোহরী এবং ভেটকি মাইলু। মিষ্টিমুখের জন্য হাজির পাবেন, যেমন তেমন এটি রসগোল্লা এবং পন্তুয়ার মিক্সড ডিজার্ট। তাছাড়াও নিজের পছন্দমত মেনু কিন্তু ঠিক করতেই পারেন। শসা সর্ষে চিংড়ি, বাগানে মসলার মুরগি, এবং খেজুরের পায়েস।






You might also like!