দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মহলায়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় দেবীপক্ষের, আক্ষরিক অর্থে এই দিন থেকেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের শুরু হয় দূর্গাপুজার। পৌরানিক মতে এই দিনেই দেবতাদের সঙ্গে অসুরদের যুদ্ধ হয়,যে কারনে এই দিনটির একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও এই দিনটির একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে, এই দিনটিতে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। আবার এই দিনেই দেবীর চওখে রঙের প্রলেপ দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
মহালয়ের আক্ষরিক অর্থ করলে দাড়ায় মহান আলয়। দেবী দূর্গার আগমন বার্তায় ধরিত্রীবাসীর প্রতিটি গৃহই হয়ে ওঠে মহান। পুরান মতে ব্রক্ষ্মার বরে মহিষাসুর অমরত্ব লাভ করে, তবে বর দেবার সময় তিনি বলেন তাকে নিধন করতে পারে একমাত্র এক নারী। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ট, তখন ত্রিশক্তির সম্মিলিত শক্তিতে আবির্ভূত হন দেবী মহামায়া। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র সম্ভারে সুসজ্জিত হয়ে তিনি অসুরদের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করেন দেবী। এই জন্যই এই অনুষ্ঠানকে মনে করা হয় অশুভ শক্তির বিনাসে শুভ শক্তির উজাগরনের উৎযাপন।
এই বছর মহালয়া দিনটি হল ১৪ অক্টোবর (২৬ শে আশ্বিন), শনিবার। ১৩ ই সেপ্টেম্বর (২৫শে আশ্বিন) রাত ৯/২৬/৯ থেকে ১৪ অক্টোবর (২৬ শে আশ্বিন), শনিবার রাত ১০/৪৯/৪৪ পর্যন্ত অমাবশ্যা তিথি থাকছে। মহালয়ার পূর্বের ১৫ দিন চলে পিতৃপক্ষ, দেবী দূর্গার মর্ত্যে আগমনের সাথে পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা হয় দেবীপক্ষের।
পিতৃ পক্ষের অবসানে অনুষ্ঠিত পিতৃ তর্পন সম্পর্কে না না ধর্ম কথা শোনা যায়। এই অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে না না রীতিনীতি ও। এি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিজের পুর্বপুরুষকে জলপ্রদানের রীতি চালু রয়েছে, এবং বিশ্বাস নিজের বংশের পুরুষের হাত থেকে জল পেতে নাকি স্বর্গত পূর্বপুরুষেরা নিজেরা এই দিনটিতে ধরিত্রীতে আসেন।