কলকাতা, ২৬ সেপ্টেম্বর : এবছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিঁদুর খেলায় সামিল হবেন স্মৃতি ইরানি। ঝাড়গ্রামের একটি পুজো কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এমনটাই খবর বঙ্গ বিজেপি সূত্রে।
দুর্গাপুজোর আর ২৪ দিন বাকি। বিগত কয়েক বছর ধরেই, বাংলার দুর্গাপুজো আর শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের পুজো নেই। তাতে রং লেগেছে রাজনৈতিক লড়াইয়েরও। আর বছর ঘুরলেই যেখানে লোকসভা নির্বাচন, সেখানে এই ছবিতে কি আর ব্যতিক্রম কিছু হতে পারে?
তাই আগে সুবিধা করতেনা পারলেও এবছর সর্বশক্তি নিয়ে চেষ্টা করছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। বাঙালির আবেগ ছুঁয়ে যেতে দুর্গাপুজোয় সামিল হতে চলেছেন মোদী সরকারের এক ঝাঁক মন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একাধিক পুজোর উদ্বোধন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে থাকবেন তাঁরা। তবে সবার মধ্যে এবছর নজরে থাকবে, কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো - সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।
সেখানে এবারের থিম - অযোধ্যার রাম মন্দির। উদ্বোধন করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিঁদুর খেলায় অংশ নেবেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
এছাড়াও, বালুরঘাটের একটি পুজো উদ্বোধন করার জন্য, অমিত শাহর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ঝাড়গ্রামের একটি পুজো কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
বিগত কয়েক বছরে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে আয়োজিত দুর্গাপুজোর, নেপথ্যে উদ্যোক্তা ছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতা নেত্রীরাই। এবার ইজেডসিসি-র বদলে সেই পুজো হবে রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে। সূত্রের দাবি, বিজেপির ব্যানারে না হলেও অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে, পুজো পরিচালনা করবেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ।
একইসঙ্গে শারদ সম্মান দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। থাকছে লক্ষ টাকার পুরস্কার। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। একটা সময় বিজেপিই বলত বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। কটাক্ষ শান্তনু সেনের।