দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অসমের বার্ষিক বন্যায় বেজায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। ফি বছরের বন্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবারের দ্বিতীয় দফার বন্যায় বেশ কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছেন রাজ্যপাল।
গত কয়েকদিন বন্যা-বিধ্বস্ত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল কাটারিয়া। এক সরকারি সফরে জয়পুর এসেছেন তিনি। জয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গতকাল (৮ জুলাই) পর্যন্ত সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘’এবারের ভয়াবহ বন্যায় ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাজ্য জুড়ে রাস্তা এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
অসমের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া বছর বছর বন্যার প্রকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘অসমে প্রতি বছর বন্যা পরিস্থিতি কমবেশি বজায় থাকে। প্রতিবছরের বন্যায় অসংখ্য নাগরিক নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।’ তিনি ব্রহ্মপুত্র নদ এবং এর উপনদীগুলির জন্য এই অঞ্চলের বার্ষিক বন্যার ঝুঁকির প্রসঙ্গেও বলেছেন। রাজ্যপাল বলেন, ‘তবে বন্যাপ্রবণ এলাকার মানুষ সবসময় এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকেন। কারণ অসম সহ সংলগ্ন পার্বত্য রাজ্যগুলিতে অত্যধিক বৃষ্টিপাত হলে ব্রহ্মপুত্র নদ এবং অন্যান্য ছোট নদীগুলির জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’
‘ফি বছরের বন্যা ছাড়াও কেবলমাত্র এ বছরের বন্যায় নাগরিককুল বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,’ বলেন কাটারিয়া। তিনি অসমের জনগণের ধৈর্য, স্থিতিশিলতা এবং সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, ‘সংকট মোকাবিলা এবং প্রাকৃতিক পরিস্থিতির প্রভাব প্রশমিত করতে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের ত্রাণজনিত প্রচেষ্টার প্রতি তাঁরা (অসমের বন্যার্ত নাগরিককুল) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।’