
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: : লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের (Car Blast) ঘটনায় মূল পাণ্ডার (Mastermind) প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে, সোমবার রাতে যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই গাড়িটির বর্তমান মালিকের নাম উমর মহম্মদ। সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) তার ছবি ধরা পড়েছে এবং পুলিশ তাকেই মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করছে।তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সোমবার দিনভর দিল্লি জুড়ে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযানের জেরে খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই সম্ভবত উমর মহম্মদ সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।তবে এই মুহূর্তে উমর মহম্মদ মৃত না কি সে গা ঢাকা দিয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তার অবস্থান নিশ্চিত করতে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের আগে বিকেল ৪টের দিকে ঘাতক গাড়িটি প্রবেশ করে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ছিল গাড়িটি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন পার্কিং লট থেকের বেরনোর সময় গাড়িতে একজনই ছিল। সেই মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত গাড়িটি চালিয়ে এনে বিস্ফোরণ ঘটায়।
সিসিটিভি ফুটেজেই গাড়ির চালকের আসনে থাকা উমরের ছবি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। হুন্ডাই I-20 গাড়ির মধ্যে রাখা ডিটোনেটর থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক উমর, এমনটাই অনুমান। যদিও বিস্ফোরণের ঠিক আগের মুহূর্তে দেখা যায়, গাড়ির চালকের আসনে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি রয়েছেন। মাঝপথে উমর নেমে গিয়ে অন্য কেউ চালকের আসনে বসেছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ফলে দিল্লির বিস্ফোরণে উমরের মৃত্যু হয়েছে একথাও স্পষ্ট করে বলা যায় না। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, দুই সঙ্গীকে নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল উমরের।
প্রাথমিকভাবে ১৩জন সন্দেহভাজনকে জেরা করছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, সোমবার রাজধানীর একাধিক এলাকায় বিপুল পরিমাণে আরডিএক্স উদ্ধার হওয়া এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারিতে ভয় পেয়ে গিয়ে তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে উমর। কারণ সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া আরও দুই ডাক্তারের সঙ্গে তার যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। উমরের ভাইকেও ইতিমধ্যেই জেরা করছে দিল্লি পুলিশ।
